রয়কে স্বাগত জানালো বেঙ্গালুরু

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

অবশেষে পাকাপাকি ভাবে রয় কৃষ্ণাকে দলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করল বেঙ্গালুরু এফসি। কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল বেঙ্গালুরুতে যেতে পারেন রয়। অবশেষে তাতে শিলমোহর পড়ল। এদিন বেঙ্গালুরু এফসির টুইটে লেখা হয়,’বুম! ফিজির জাতীয় দলের স্ট্রাইকার এবং আইএসএলে দু’বারের সর্বোচ্চ গোলদাতা রয় কৃষ্ণাকে দলে নিয়েছে দ্য ব্লুজ। লেটস গো, বেঙ্গালুরু।’

ইস্টবেঙ্গল-নর্থ ইস্ট দৌড়ে থাকলেও সুনীল ছেত্রীর দল রয়কে কার্যত ছিনিয়ে নিল। রয়ের এটিকে মোহনবাগানের সতীর্থ প্রবীর দাসও আছেন বেঙ্গালুরুতে এবার এলেন রয়। কিছুদিন আগে ইস্টবেঙ্গল থেকে বাংলার হীরা মন্ডলকে দলে নিয়ে বেঙ্গালুরু টুইট করে,’জুয়েলারি কিনতে এসেছিলাম হীরা কিনলাম।’ এখনও অবধি একবার আইএসএল (isl) ট্রফি জিতেছে বেঙ্গালুরু।
২০২০-২১ আইএসএলের গোল্ডেন বল জয়ী ফুটবলার রয় কৃষ্ণাকে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচশো ফুটবলারদের তালিকায় রেখেছিল বিশ্বখ্যাত ফুটবল ম্যাগাজিন ‘ওয়ার্ল্ড সকার’। গত বছর তাদের এক বিশেষ সংখ্যায় সারা দুনিয়ার যে ৫০০ জন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারকে নিয়ে প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়, তার মধ্যে এই তারকা ফরোয়ার্ডেরও প্রশংসা করে তাঁকে নিয়েও বিস্তারিত লেখা হয়েছিল।

যে দেশে ফুটবলের চেয়ে রাগবি অনেক বেশি জনপ্রিয়, সেই ফিজি থেকে উঠে এসে নিজেকে ক্রমশ ফুটবল তারকার জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করেন রয়। শুরুতে ওয়েলিংটন ফিনিক্স থেকে বাতিল হওয়ার পর ২০০৯-এ বিখ্যাত ডাচ ক্লাব পিএসভি-তে ট্রায়াল দেওয়ার সুযোগ পান এই ফুটবলার। ওই দ্বীপরাষ্ট্রের এক ফুটবলারের কাছে যা ছিল স্বপ্নের মতো। কিন্তু তিনি এ লিগে খেলার দিকেই বেশি মন দেন এবং ওয়েটাকেরে ইউনাইটেডে সই করে ৭৫ ম্যাচে ৫৫ গোল করে তাঁর বর্ণময় ফুটবল কেরিয়ার শুরু করেন।
যারা তাঁকে প্রথমে ফিরিয়ে দিয়েছিল, সেই ওয়েলিংটন ফিনিক্স-ই রয় কৃষ্ণাকে পাঁচ বছরের মধ্যে রীতিমতো মোটা অঙ্কের প্রস্তাব দিয়ে নিয়ে আসে ও ১২২ ম্যাচে ৫১ গোল করে তিনি সেই ক্লাবের সর্বোচ্চ গোলদাতার আসন অর্জন করেন। ২০১৬ অলিম্পিক্সে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে তিনি গোল দেন।
২০১৯-এ ভারতে চলে আসেন রয়। এটিকে এফসি-র হয়ে ভারতের এক নম্বর ফুটবল আইএসএলে প্রথম বছর খেলেই ১৫ গোল করেন তিনি। এটিকে-র সঙ্গে মোহনবাগানের সংযুক্তির পরেও তিনি ভারতেই থেকে যান ও দলের অন্যতম অধিনায়কও হয়ে ওঠেন। নতুন দল লিগে দ্বিতীয় স্থান পেলেও কৃষ্ণা কিন্তু এ বারেও সর্বোচ্চ গোলদাতার শিরোপা অর্জন করেন।

গত আইএসএলেও গোলের বন্যা বইয়ে দেওয়ার জন্য সবুজ-মেরুন শিবিরে হুগো বুমৌস, জনি কাউকোর সঙ্গে ছিলেন রয়। ভারতে এসে প্রথম মরশুমে ১৫টি ও দ্বিতীয় মরশুমে ১৪টি গোল করার পরে গত বারও তিনি প্রচুর গোল করবেন বলে আশা করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু কোভিড ও চোট-আঘাতের কারণে গত আইএসএলে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি ফিজির তারকা ফরোয়ার্ড। ১৬ ম্যাচে সাতটি গোল করেন ও চারটি করান।

পড়ুনঃ রোনাল্ডো – কাকার এক সতীর্থকে নিতে চায় বাগান – NF Bangla Private Limited (newsfrontbangla.com)