জুলাই 5, 2024
Latest:
ক্রীড়া

পাকিস্তানের হয়ে ভারতের বিরুদ্ধেও মাঠে নামেন সচিন

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি তথা ক্রিকেট ঈশ্বর সচিন রমেশ তেন্ডুলকার রবিবার (২৪ এপ্রিল) ৪৯ বছর বয়স পূর্ণ করলেন। টেস্ট এবং ওয়ান ডে ক্রিকেটে সবথেকে বেশি রান, সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে মাস্টার ব্লাস্টারের ঝুলিতেই। ১৯৮৯ সালে করাচিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিষেক হয় ষোলো বছরের কিশোর সচিনের । বিপক্ষ বোলিং আক্রমণে ছিলেন ইমরান খান, ওয়াসিম আক্রম আর ওয়াকার ইউনিসের মত বোলার । ওয়াকারের বলে নাক ফেটে যাওয়ার পরেও সাহসী সচিন মাঠ ছাড়েননি বরং ব্যাটিং করে যান । এবার সামনে এলো এক অজানা তথ্য, কিন্তু খুব কম লোকই এই সত্যটি জানেন যে দুই বছর আগে পাকিস্তানের হয়ে মাঠে নামেন সচিন। ১৯৮৭ সালে পাকিস্তানের হয়ে সচিন নামেন সেটাও আবার তার মুম্বইয়ের মাটিতেই। ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে খেলা পাকিস্তান ক্রিকেট দলের হয়ে সেদিন মাঠে নেমেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। অবিস্মরণীয় এই ঘটনা নিজের আত্মজীবনী ‘প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে’- তে উল্লেখ করেছেন তিনি।
প্রাক্তন পাক অধিনায়ক ইমরান খানের নাম উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘আমি ঠিক জানি না ইমরান খানের আদৌ মনে আছে কি না যে একসময় আমিও পাকিস্তান দলের হয়ে খেলেছিলাম।’ আত্মজীবনীতে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, পাকিস্তানের ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদ এবং আবদুল কাদির মধ্যাহ্নভোজের বিরতির সময় মাঠ ছেড়েছিলেন। স্ট্যান্ডবাই ফিল্ডার হিসেবে সচিন সফরকারী দলের হয়ে মাঠে নামেন। শুধু পাকিস্তানের হয়ে মাঠে নামাই নয় আরও একটি ঘটনা সচিন স্মরণ করলেন। সেদিন ম্যাচে কপিল দেবের ক্যাচ ধরতে ধরতেও একটুর জন্য মিস করেছিলেন। প্রসঙ্গত, সচিন তেন্ডুলকরের বর্ণময় ক্রিকেট কেরিয়ারের এমন অনেক অনবদ্য রেকর্ড রয়েছে তা অতিক্রম করা তো দূর তার কাছাকাছিও পৌঁছতে পারেননি অনেকেই।
প্রায় দুই দশক ধরে সচিন গোটা দেশের মুখে ব্যাট হাতে আনন্দ দেন। দেশের হয়ে ছয়টি বিশ্বকাপ খেলেন সচিন। কেরিয়ারের শেষ সময়ে এসে ২০১১ সালে তার স্বপ্ন পূরণ হয়, তার ঘরের মাঠ মুম্বইয়ে ভারত বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়। এছাড়া ২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত হারলেও, সেবার ৬৭৩ রান করেন। যেটা এখনও কোনো ব্যাটারের একটা বিশ্বকাপে করা সর্বোচ্চ রান।আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩৪৩৫৭ রান করেছেন যার মধ্যে রয়েছে ১০০টি সেঞ্চুরিও। এই রেকর্ড এখনও কেউ ভাঙা তো দূরের কথা কাছাকাছিও আসতে পারেননি।