অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পরে আইপিএলে দারুণ ফর্ম ঋদ্ধিমান সাহার । চলতি আইপিএলে গুজরাট টাইটন্স আট ম্যাচে ঋদ্ধি ৩১৩ রান করে ফেলেছেন । গড় ৪০.১৪। স্ট্রাইক রেট ১২৩.২৫।
এবার ঋদ্ধির প্রশংসা করলেন খোদ সচিন তেন্ডুলকার। এক সাক্ষাৎকারে ক্রিকেট ঈশ্বর জানালেন,”সাহা ভীষণই আন্ডার-রেটেড ক্রিকেটার । আমি ওকে ভীষণ উঁচুতে রেট করি। কারণ ও একজন ভয়ঙ্কর খেলোয়ড়। স্পিনার হোক বা ফাস্ট বোলার, সকলের বিরুদ্ধে সবদিক শট খেলতে দক্ষ ও। তবে (আরসিবির বিরুদ্ধে) ওর ফ্লোটাই ব্যাহত হয়, কারণ ও স্ট্রাইক পাচ্ছিল না। যখন কোনও ব্যাটার ভাল ছন্দে রয়েছে, তখন তাঁর স্ট্রাইকে থাকাটা জরুরি। তবে ও তেমন সুযোগটা পায়নি।’’
আরসিবির বিরুদ্ধে ম্যাচে ঋদ্ধিমান সাহা ব্যাট হাতে ভালো শুরু করেন । তবে গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে বোঝাপড়ার ভুলে রান আউট হয়ে যান। ২২ বলে ৩১ রান করেন তিনি। গুজরাত এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৬৮ রান তোলে। জবাবে বিরাট কোহলির ব্যাটে ভর করে আরসিবি আট বল ও আট উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় । ইডেনে নিজের ঘরের মাঠে প্লে অফের ম্যাচ খেলতে নামবে ঋদ্ধি।
বয়সের কারণে জাতীয় টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ে কোচ রাহুল দ্রাবিড় যখন তাঁকে জানিয়েছিলেন,ভারতীয় দলে তাঁকে আর প্রয়োজন নেই তখন সেই ঘটনা ঋদ্ধিমান জানিয়েছিলেন সেই কথা। এমনও তিনি দাবি করেছিলেন,সৌরভ গাঙ্গুলি নাকি তাঁকে বলেছিলেন,তিনি যতদিন বোর্ড প্রেসিডেন্ট থাকবেন ততদিন ঋদ্ধিমান খেলবেন। এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর সিএবি সচিব স্নেহাশিস গাঙ্গুলি প্রতিবাদ করে বলেছিলেন,”ঋদ্ধির সঙ্গে মহারাজের ব্যক্তিগত ফোনালাপ প্রকাশ্যে এনে ঋদ্ধি ঠিক কাজ করেনি।” রাহুল দ্রাবিড়ের ওই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পর সিএবি কর্তারা বাংলার ঋদ্ধিমানকে সহানুভূতি জানায়নি। বরং বিরূপ মন্তব্য করা হয়েছে।
এরপর সাংবাদিক বরিয়া মজুমদার একপ্রকার হুমকি দেন ঋদ্ধিকে ইন্টারভিউ না দেওয়ার জন্য। যদিও বোর্ড কিছুদিন আগে এই সাংবাদিককে নির্বাসিত করে।
কিছুদিন আগে ঋদ্ধি জানান যে তিনি বাংলার হয়ে খেলতে চান না। বাংলার দল নির্বাচনে ঋদ্ধিমান ও মহম্মদ সামিকে দলে রাখা হয়েছে। তাঁদেরকে রেখেই রঞ্জি দল গড়ার আগে সামির সঙ্গে সিএবি কর্তরা ফোনে কথা বলে নিলেও,ঋদ্ধিমানকে ফোন করে কোনও মতামত জানতে চাওয়া হয়নি। অপমানিত ঋদ্ধিমান সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়াকে ফোন করে এনওসি চেয়েছেন।