এনএফবি,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতায় গাছ কেটে পাচার কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ার থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ফের পশ্চিম মেদিনীপুরে শালবনি ব্লকের পিড়াকাটার নোনাশোল গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীদের কাটা ৫০টি ৪০ বছরের পুরানো শালগাছ উদ্ধার করলো গ্রামবাসীরা ৷
জানা গিয়েছে, শালবনি ব্লকের আট নম্বর গড়মাল গ্রাম পঞ্চায়েতের নোনাশোল গ্রাম লাগোয়া শাল জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আনুমানিক ৫০ টি ৪০ বছরের পুরনো কাটা শাল গাছ । এই উদ্ধার হওয়া শাল গাছগুলির আনুমানিক মূল্য ৫ লক্ষ টাকা ৷ গ্রামবাসীরা নিজেদের চেষ্টায় রাতের অন্ধকারে উদ্ধার করে গাছগুলিকে গ্রাম লাগোয়া ফুটবল মাঠে আনে ৷ পরে বনদপ্তর এবং পুলিশকে খবর দেয় গ্রামবাসীরা ৷ গাছগুলি উদ্ধার করতে পারলেও এখনও অধরা রয়েছে দুষ্কৃতীরা ৷
প্রসঙ্গত গত দুমাস আগে গরবেতায় একটি জঙ্গল থেকে প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়াই কয়েক হাজার গাছ কেটে নেওয়া হয়েছিল। সেই নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি ৷ এই ব্যাপার মিটতে না মিটতে পুনরায় আবারও গাছ কাটার ঘটনা ঘটলো শালবনি ব্লকের নোনাশোল গ্রামে রাতের অন্ধকারে । গ্রামের একদল যুবকের তৎপরতায় উদ্ধার হয়েছে কেটে নেওয়া এই মূল্যবান শাল গাছগুলি। গ্রামবাসীদের মতে এই গাছগুলি কেটে নেওয়ার ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতেও ভাটা পড়বে বলে মনে করছেন তারা ৷ কারণ এই গাছগুলি ৪০ বছর ধরে রক্ষণাবেক্ষণ করে রেখে তাদের এই পরিমাণ গাছগুলি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গ্রামে থাকা আড়াইশোটি পরিবার কম-বেশি প্রত্যেকে বছরে দশ থেকে বারো হাজার টাকা পেয়ে থাকেন।
দুষ্কৃতীদের দ্বারা কাটা গাছ থেকে তাদের অর্থনৈতিক ক্ষতি ছাড়াও প্রাকৃতিক পরিবেশ ও নষ্ট করবে বলেও মনে করছেন গ্রামবাসীরা ৷ প্রশাসনের কাছে একটাই আবেদন যাতে এই ধরণের দুষ্কৃতীদের সাজা হয় তা না হলে আগামী দিনে জঙ্গল সংরক্ষণে গ্রামবাসীরা তাদের মনোবল হারাবে। এটাই তারা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেন বলে জানা গেছে।