অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
করোনার থাবায় ফেডারেশন আগামী ২০ ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হতে চলা সন্তোষ ট্রফি স্থগিত করে দিয়েছে। তবে অনুশীলনে কোনো খামতি রাখতে চাইছে না টিম বেঙ্গল। এদিন সোনারপুরে ছুটি কাটিয়ে কোচ রঞ্জন ভট্টাচাৰ্যর নেতৃত্বে অনুশীলন শুরু করলেন বাংলার ফুটবলাররা। আপাতত চার দিনের ক্যাম্প চলবে। বাংলা দলকে উৎসাহ দিতে হাজির ছিলেন আইএফএ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত, আইএফএ-এর সহ সভাপতি পার্থ সারথি গঙ্গোপাধ্যায়, সচিব জয়দীপ মুখার্জি, সহ সচিব রাকেশ ঝা। বাংলার কোচ জানিয়েছেন, এই শিবিরে দুই বেলাই অনুশীলন করবেন ফুটবলাররা। বর্তমানে চারদিনের শিবির চললেও পরবর্তী প্রয়োজনে আরও আবাশিক শিবির করা হতে পারে। তবে দলের স্তম্ভ সুুব্রত মুর্মু, চোটের কারণে এতদিন অনুশীলনের বাইরে ছিলেন। তবে, চোট কাটিয়ে তিনিও এই আবাশিক শিবিরে যোগ দিলেন। সন্তোষে বাংলা শক্ত গ্রুপে রয়েছে মনে করছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। তবে সেই বিষয় নিয়ে ভাবতে রাজি নন বাংলার কোচ রঞ্জন ভট্টাচাৰ্য। তিনি জানাচ্ছেন,”এত কিছু ভাবলে চলবে না। কে আছে গ্রুপে, কে নেই। আমি বলতে পারি আমার দলের শক্তি আছে যে কোনো দলকে হারানোর। শুধু গোলের মুখটা খুলতে হবে। চ্যাম্পিয়ন হতে হলে হারাতে হবে কেরল, পঞ্জাবের মতো দলকে। আইএফএ সবরকমভাবেই ফুটবলারদের সাহায্য করছে। সমস্ত কোভিড প্রোটোকল মেনে দলের অনুশীলনের ব্যবস্থা করার জন্য।” কল্যাণীতে প্রাথমিক পর্বতে জয় পেয়ে মূল পর্বতে কোয়ালিফাই করেছে বঙ্গ ব্রিগেড। তবে দলের অনেক গোল মিস করায় ফরওয়ার্ড লাইন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সেটপিস ও লং বল অনুশীলনে বেশি জোর দিলেন রঞ্জন। কেরালায় বাড়তে থাকা করোনার জন্য ফেডারেশন আপাতত সন্তোষ স্থগিত করেছে। ফাইনাল রাউন্ডের যোগ্যতা অর্জন করা ১০টি দলকে দেওয়া চিঠিতে এআইএফএফ-এর সাধারণ সচিব কুশল দাস লেখেন,“করোনা পজিটিভ কেস বৃদ্ধির কারণে, এআইএফএফ কেরালা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিযোগিতার সূচি পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” মার্চ মাসের শেষ অথবা এপ্রিল মাসের শুরুতেই কেরালাতেই সন্তোষ হবে বলে শোনা যাচ্ছে। দীর্ঘ পাঁচ বছর সন্তোষ জিততে পারেনি টিম বেঙ্গল।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক যোগ্যতা অর্জনকারী ১০ টি দলের মধ্যে কে কোন গ্রুপে রয়েছেঃ
গ্রুপ এঃ
পাঞ্জাব, মেঘালয়, রাজস্থান, বাংলা ও কেরালা।
গ্রুপ বিঃ
সার্ভিসেস, মনিপুর, কর্নাটক, ওড়িশা ও গুজরাট।