২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়াকে না হারাতে পারলে সৌরভ আর ক্যাপ্টেনই থাকত নাঃ হরভজন

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

২০০১ সালে স্টিভ ওয়ার অস্ট্রেলিয়াকে নিজেদের ঘরের মাঠে ভারত ২-১ ব্যবধানে টেস্টে সিরিজ হারিয়ে অজিদের অশ্বমেধের ঘোড়া থামিয়ে দেন। অনেকের মতে সেটাই ভারতীয় ক্রিকেটের ঘুরে দাঁড়ানোর টার্নিং পয়েন্ট। আর সেই সিরিজে মুম্বইয়ে প্রথম টেস্ট হেরে কলকাতায় ফলোঅন খেয়ে রাহুল দ্রাবিড় আর ভি ভি এস লক্ষণ এর পার্টনারশীপ আর হরভজন সিংয়ের হ্যাটট্রিক তো ইতিহাসের পাতায় লেখা। সেই টেস্টে জয় পেয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় সৌরভের ভারত। এরপরে চেন্নাই টেস্ট জিতে ভারত সিরিজ পকেটে পুরে নেয়। স্টিভের ভারত থেকে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন অধরা থেকে যায়।
তবে সেই সিরিজের সেরা বোলার হরভজন সিং মনে করেন সেই সিরিজ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় না জিততে পারলে সৌরভের ক্যাপ্টেন্সিই থাকতো না। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন,” ওহ ক্যাপ্টানি সে হট জাতে (উনি অধিনায়কই থাকতেন না)। ভারত যদি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জিততে না পারতো তাহলে সৌরভের ক্যাপ্টেন্সি থাকতো না । আমরা যদি সিরিজ না জিততাম, তাহলে দাদা থাকতেন না।” এরপরেই ভাজ্জি জানান,” ভগবান সৌরভ গাঙ্গুলীকে আমার জন্য পাঠিয়েছেন, বলেছিলেন ‘এই বাচ্চাটার হাত ধরো।’ তিনি আমার হাত ধরেছিলেন এবং আমি ঈশ্বরের হাত ধরে রেখেছিলাম। আমি আমার কাজ করতে থাকি। এভাবেই আমি আমার নাম করেছিলাম সৌরভ গাঙ্গুলিও একটি বড় সিরিজ জিতেছিল, যার কারণে তিনি অধিনায়কত্বে এক্সটেনশন পেয়েছিলেন।” হরভজন আরও বলেন, ” হ্যাঁ, সৌরভ আমাকে সমর্থন করেছিলেন, এতে কোন সন্দেহ নেই। আমি এর জন্য সর্বদা কৃতজ্ঞ। আমার সেই সিরিজের পারফরম্যান্সও আমার কেরিয়ারের বড় মোড় ঘুরিয়ে দেয় । আমার সেই সময় খুব খারাপ যাচ্ছিলো। সৌরভ গাঙ্গুলী ঠিক সময়ে আমাকে সুযোগ দেয় এটাই একজন ক্যাপ্টেনের কাজ। তারপর তুমি কেমন পারফরমেন্স কর তোমার উপর নির্ভর করে।”
প্রসঙ্গত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ৪৯ টি টেস্ট ম্যাচে ভারতের হয়ে ক্যাপ্টেন্সি করেন। তার মধ্যে ২১ টি ম্যাচে ভারত জয় পায় আর ১৩ টি ম্যাচে হারে। আর ১৫ টি টেস্ট ড্র হয়। সৌরভের ক্যাপ্টেন্সিতেই ভারত প্রথমবার পাকিস্তানের মাটি থেকে ২০০৪ সালে টেস্ট সিরিজে জয় পায়। সৌরভের ক্যাপ্টেন্সিতেই ভারত দীর্ঘদিন পরে উপমহাদেশের বাইরে গিয়ে টেস্ট সিরিজ জেতে।
এছাড়া দীর্ঘদিন পরে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মাটি থেকে সৌরভই টেস্ট সিরিজ ড্র করে দেশে ফেরেন।