এনএফবি, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার-সহ একাধিক রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি, কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি। ‘নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি হারিয়েছি’- উঠতে বসতে সবক্ষেত্রে বিজেপি নেতা শুভেন্দুর এই বক্তব্যকে এবার কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল নন্দীগ্রামের পুরানো বিজেপি কর্মীরা। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা জানাল, এই মুহূর্তে তাদের ছাড়া নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়িয়ে জিতে দেখাক শুভেন্দু।
রাজ্যের বিরোধী দল নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিজেপি থেকে বিরতি নিল প্রায় ষাট জন কর্মী। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির আহ্বায়ক বটকৃষ্ণ দাস, জয়দেব দাস-সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব।
তমলুকের নিমতোৌড়িতে এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিক্ষুব্ধরা। একইসঙ্গে বিক্ষুব্ধ এই বিজেপি কর্মীরা জেলা প্রশাসনের কাছে তাদের নিরাপত্তাও দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, আজকেই নন্দীগ্রাম-সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিশেষ দায়িত্ব পেয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। এ দিন দায়িত্ব পেয়েই তিনি পূর্ব মেদিনীপুরে হাজির হন। বিজেপির বিক্ষুব্ধরা দলে যোগ দিতে চাইলে নেবেন কী না- সেই প্রশ্নের উত্তরে কুনাল জানান, এ বিষয়ে আমি কিছু বলবো না। আমি দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে রিপোর্ট দিতে পারি।
একইসঙ্গে তিনি জানান, আগামী ৪ নভেম্বর নন্দীগ্রামে সভা করে দল তার বক্তব্য জানাবে। তবে বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টিতে কুনালও জোর দেন।
রাজ্য রাজনীতির বহুল চর্চিত ‘নন্দীগ্রাম’ আবার কোন রাজনীতির অভিমুখ দেখায় এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।