জুলাই 8, 2024
Latest:
ক্রীড়া

জুনে এশিয়া কাপের কোয়ালিফাই ম্যাচ খেলতে যুবভারতীতে সুনীলরা

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

তিন বছর পরে কলকাতায় ফিরছে ভারতীয় দলের আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ। করোনার জেরে ভারতের সর্বোচ্চ লিগ আইএসএল (isl) হয়েছে গোয়াতে। কলকাতায় i-leauge ও কলকাতা লিগের ম্যাচ ও ifa shiled হয়েছে। ভারতের ও আফগানিস্তান ম্যাচ হওয়ার কথা থাকলেও করোনার জন্য হয়নি। অবশেষে ভালো খবর দিল ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। আসন্ন জুুনেই কলকাতায় ফিরতে চলেছে আন্তর্জাতিক ফুটবল। এএফসি এশিয়ান কাপের তৃতীয় রাউন্ডের কোয়ালিফায়ার আয়োজিত হবে যুবভারতীতে।

২০২৩শে অনুষ্ঠিত এশিয়ান কাপের শেষ কোয়ালিফাইয়িং রাউন্ডে মোট ২৪টি দল অংশ নিচ্ছে। তার মধ্যে ১১টি দেশ পরের বছর এশিয়ার সেরা টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পাবে। ভারতীয় দলও অংশ নিচ্ছে। এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়ার জন্য কোয়ালিফায়ার খেলতে কলকাতাতেই নামবেন সুনীল ছেত্রীরা। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন যুবভারতীতে ম্যাচ আয়োজনের জন্য এএফসিকে দরপত্র জমা দিয়েছিল। সেই মতোই আরও পাঁচ দেশের পাঁচ মাঠসহ যুবভারতীতেও কোয়ালিফায়ার খেলা হবে।

দরপত্র জমা দেওয়ার পরে ফেডারেশন সচিব কুশল দাস জানান, ‘আমরা কোয়ালিফায়ের অন্যতম ভেন্যু হিসাবে কলকাতার নাম দিয়ে দরপত্র পাঠিয়েছিলাম। কোয়ালিফায়ার আয়োজন করার জন্য কলকাতার পরিকাঠামো দারুণ। স্টেডিয়াম, প্র্যাক্টিস মাঠ, থাকার জায়গা, সবই একেবারে প্রায় পাশাপাশি। বাংলা অ্যাসোসিয়েশন এবং সরকারও সবসময় আমাদের সহযোগিতা করে ।’ কলকাতা সহ মঙ্গোলিয়া, কির্ঘিজ রিপাবলিক, মঙ্গোলিয়া, মালেশিয়া, উজবেকিস্তান ও কুয়েতেও কোয়ালিফায়ার খেলা হবে। ১০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ফিফা ব়্যাঙ্কিং অনুযায়ী, ২৪ ফেব্রুয়ারি অংশগ্রহণকারী দলগুলিকে মোট পাঁচটি ভাগ করে গ্রুপ নির্ধারিত করা হবে।
৮, ১১ ও ১৪ জুন ম্যাচের পরেই গ্রুপগুলির প্রথম ছয় দল এবং দ্বিতীয় স্থানে শেষ করা সেরা পাঁচ দল যোগ্যতা অর্জন করবে। এশিয়ান ২০২৩ সালের ২৬ জুন এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্ব আয়োজিত হবে।

আরও পড়ুনঃ পথবাতি সারাতে মই বেয়ে বিদ্যুতের খুঁটির উপড়ে উঠলেন তৃণমূল প্রার্থী

ifa সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “আমরা গত কয়েকবছর ধরে ফেডারেশনের সেরা সংস্থার পুরস্কার পেয়ে যাচ্ছি। আমরা এটাকে আমাদের কাজের পুরস্কার হিসাবে দেখছি। শেষবার যখন তিন বছর আগে ভারতীয় দল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলেছিল, যেমন উন্নত পরিষেবা দিয়েছিল তেমনই সুযোগ দেবে Ifa। আমাদের ফুটবল কাঠামো দেশের সেরা। সেই সুনাম বজায় রাখব। টিম ifa সবসময় ফুটবলের পাশে রয়েছে। করোনা প্রকোপ যদি সেই সময়ে কম থাকে মাঠে আমরা দর্শক ঢোকার অনুমতিও দেব।”