অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে এবার জড়িয়ে গেল ভারতীয় ফুটবলও। বেলারুশের বিরুদ্ধে খেলতে অস্বীকার করলো ভারতীয় ফুটবল দল। চলতি মার্চ মাসের শেষে বেলারুশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল সুনীল ছেত্রিদের। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণে ভ্লাদিমির পুতিনের পাশে রয়েছে বেলারুশ। সেই কারণে রাশিয়া ও বেলারুশকে একঘরে করে দিয়েছে গোটা বিশ্ব। বাদ নেই ক্রীড়ামহলও। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা ও ফিফাও রাশিয়া এবং বেলারুশকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। এবার একপ্রকার ভারতও সেই তালিকায় নাম লেখালো।
আগামী জুন মাসে যুবভারতীতে এশিয়া কাপের কোয়ালিফায়ারে নামার আগে ২৩ মার্চ বাহরাইন এবং ২৬ মার্চ বেলারুশের বিরুদ্ধে মানামাতে ম্যাচগুলো খেলার কথা ছিল সুনীলদের। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরেই বেলারুশের বিরুদ্ধে না খেলার সিদ্ধান্ত নিল ফেডারেশন।
এআইএফএফ সচিব কুশল দাস জানিয়েছেন তাঁরা চেষ্টা করবেন বাহরাইনের বিরুদ্ধেই দু’টি ম্যাচ খেলার। তিনি বলেন, “বেলারুশকে নিষিদ্ধ করে দেওয়ায় ওদের বিরুদ্ধে খেলতে পারব না আমরা। বাহরাইন ক্রমতালিকায় ৯১ নম্বরে। ওদের বিরুদ্ধেই দু’টি ম্যাচ খেলা যায় কি না দেখছি।” প্রসঙ্গত সোমবার রাতে রাশিয়াকে বিশ্বকাপে খেলতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে ফিফা। উয়েফা জানিয়ে দেয় রাশিয়ার ক্লাবগুলিকে খেলতে দেওয়া হবে না তাদের প্রতিযোগিতায়। বেলারুশ রাশিয়াকে সাহায্য করায় তাদের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ রয়েছে ক্রীড়াসংস্থাগুলির।
৮, ১১ আর ১৪ জুন কলকাতায় এএফসি এশিয়ান কাপের ম্যাচ খেলবে ভারত। সুনীল ছেত্রীদের ৩টে ম্যাচই হবে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। ভারতের গ্রুপের সবকটা খেলাই হবে কলকাতায়। ভারতের গ্রুপে রয়েছে আফগানিস্তান, কম্বোডিয়া আর হংকং। গত কয়েক বছরে আফগানিস্তান কিছুটা হলেও সমস্যায় ফেলেছে ভারতকে। যদিও ফিফা ক্রমতালিকায় ভারতের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে আফগানিস্তান। কম্বোডিয়া আর হংকংও ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ভারতের থেকে পিছিয়ে। ভারতের ফিফা র্যাঙ্কিং ১০৪। হংকংয়ের ফিফা র্যাঙ্কিং ১৪৮, আফগানিস্তানের র্যাঙ্কিং ১৫০। আর কম্বোডিয়ার স্থান ১৭১ নম্বরে।
রাশিয়া ও বেলারুশকে ফুটবল বিশ্বকাপ থেকে কার্যত নির্বাসিত করা হয়েছে। রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে ফিফা রুশ ফুটবলারদের জন্য প্রথমে কড়া নির্দেশিকা জারি করে। পরে অবশ্য স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় কাতার বিশ্বকাপ খেলতে পারবে না পুতিনের রাশিয়া। অনির্দিষ্টকালের জন্য রাশিয়ার জাতীয় দল ও রাশিয়ান ক্লাবগুলিকে নির্বাসিত করার কথা ঘোষণা করে। ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, পোল্যান্ডের মতো দেশগুলির সরাসরি রাশিয়াকে বয়কটের পথে হাঁটতে চাওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়ায় চাপ বাড়ছিল ফিফার উপর।