২০১৯ সালেই সুনীলের অবসর নেওয়া উচিত ছিল, বিস্ফোরণ ভারতের প্রাক্তন কোচের

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

ভারতীয় ফুটবলের সুপার ষ্টার সুনীল ছেত্রী। দেশের জার্সি তে ৮১ টি গোল করে লিওলেন মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো দের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছেন সুনীল । তবে ইদানিং বয়সের কারণে সুনীলের ফর্ম খারাপ হয়ে গেছে।

অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করছেন সুনীলের সময় এসে গিয়েছে ফুটবলকে বিদায় জানানোর। এবার সুনীলের অবসর নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ভারতের প্রাক্তন কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন।
এক সাক্ষাৎকারে, সুনীলের অবসর প্রসঙ্গে ভারতের অন্যতম সফল কোচ কনস্টানটাইন বলেন, “এটা সম্পূর্ণ সুনীলের সিদ্ধান্ত যে, সুনীল আর কতদিন খেলাটা চালিয়ে যাবে। তবে আমি মনে করি ২০১৯ সালে এশিয়ান কাপের পরেই ওর থেমে যাওয়া উচিত ছিল। তুমি যখন খেলার শীর্ষে রয়েছ তখনই তোমার অবসর নেওয়া উচিত। তাতে লোকে তোমার অবদানকে আরও বেশি করে মনে রাখে। ৩৭ বছর বয়সের একজন ফুটবলার খুব কম সময়েই ২৭ বছর বয়সের একজন ফুটবলারের সঙ্গে সমানভাবে টক্কর দিতে পারে। তবে এই বিষয়ে ও এবং ওর ক্লাব সিদ্ধান্ত নেবে।”
তবে ভারতীয় ফুটবলের পরিকাঠামো নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন কনস্টানটাইন। তিনি বলেন, “ভারতীয় ফুটবলের প্রতিটা ক্লাবই সাধারণভাবে দুজন বিদেশিকে ফরোয়ার্ড হিসেবে নিয়ে আসে। এটাই প্রধান সমস্যা। আমি এর বিরুদ্ধে বহুবার বলেছি। এটা ভারতীয় জাতীয় দলকে প্রভাবিত করে। আমরা বিকল্প বার করারও চেষ্টা করেছি। আমার সময়ে জেজে খুব ভাল মানের স্ট্রাইকার ছিল। ফারুখ যদি ধারাবাহিকভাবে খেলতে পারে তবে স্ট্রাইকার হিসেবে ওর উন্নতি হবে। মনবীরকেও দেখুন যখন ওকে আমরা তুলেছি তখন পঞ্জাবের কোনও প্রথম সারির ক্লাবের হয়েও খেলত না। আমাদের স্ট্রাইকার রয়েছে। তবে তাদেরকে আমরা তৈরি করি না। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে একজন ১৬-১৮ বছর বয়সি ভারতীয় খেলোয়াড় এবং ১৬-১৮ বছর বয়সি ইংল্যান্ড, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের মধ্যে পার্থক্য থাকার কথা নয়। কিন্তু রয়েছে প্রচুর পার্থক্য। ভারতীয় ফুটবলারদের ফাউন্ডেশনটাই যদি ঠিক না হয় তবে সমস্যা রয়েছে।”

আইএসএল কোনও দলের খেলার মানের তুলনায় ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি-কে গুরুত্ব দেওয়া হয়। যার প্রভাব পড়েছে বাংলার দুই প্রধানের উপরেও। এই নিয়েও কথা তুলেছেন স্টিফেন।
তিনি বলেছেন, “আমি বুঝতে পারছি ওরা কেন এমনটা করেছে, যেভাবে ওরা করেছে, মেজর লিগ সকার থেকে এই জিনিসটি তুলে এনেছে। এই মুহূর্তে, ভারতবর্ষে অন্ততপক্ষে ১২-১৬টি দলের দরকার। হয় সেই ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি কমিয়ে দিক, যাতে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের মত প্রাচীন ক্লাবকেও খেলানো যায়। তাহলেই ব্যাপারটা ঠিক জায়গায় যাবে।”
২০০২-২০০৫ আর ২০১৫ থেকে ২০১৯ দুই ধাপে ভারতীয় ফুটবলের হেড স্যার হন এই ব্রিটিশ কোচ। ভারতীয় ফুটবলের স্টাইল বেশ ভালো করেই জানেন