জুলাই 5, 2024
Latest:
ক্রীড়া

ফের মুখ্যমন্ত্রীর সামনে নবান্নতে চুক্তি সই ইস্টবেঙ্গলের!

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

ইস্টবেঙ্গল এবং ইমামির চুক্তি জট বজায় রয়েছে। তারিখের পর তারিখ চলে যাচ্ছে কিন্তু সই হচ্ছে না। চলতি সপ্তাহেও সই হওয়ার সম্ভবনা ক্ষীণ। এই অবস্থায় ফের আসরে নামতে হতে পারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে। ময়দান সূত্রের খবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন ইমামি গোষ্ঠীর কর্তারা। কথা হতে পারে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সম্পর্কে। এরপরে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই দুই পক্ষের চুক্তি সই হবে ।এমনও শোনা যাচ্ছে ক্লাবের কাছ থেকে আরও কিছু কাগজ চেয়ে পাঠিয়েছে কোম্পানি। মূলত অতীতে শ্রী সিমেন্ট ও কোয়েসের ক্লাবে ইনভেস্ট করে কোনো রিটার্ন পাওয়া না নিয়ে চিন্তিত ইমামি গোষ্ঠীও। তাই তারা বুঝে শুনে পা ফেলতে চাইছেন। গত ২ বছরের ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে এলেও লাল হলুদের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক টেকেনি। উল্টে আইএসএল (isl) এ ভরাডুবি হয়েছিল শতবর্ষ প্রাচীন ক্লাবের।
২৫ মে মুখ্যমন্ত্রী ইস্টবেঙ্গল কর্তা ও ইমামি কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ইমামিকে লাল হলুদের ইনভেস্টর হিসেবে ঘোষণা করেন।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে বলেন, ”ইমামি আর ইস্টবেঙ্গল দুটোই শুরু ‘ই’ দিয়ে। আমার শুভেচ্ছা থাকল।” তিনি আরও বলেন,”বাংলার মানুষ শুধু ক্রিকেট নয়, ফুটবলকেও খুব ভালবাসে। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ও মহামেডান রয়েছে। ইস্টবেঙ্গল ও ইমামি উভয়ই রাজি হয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলা নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল সেটা সলভ হয়ে গেল।”
তবে মুখ্যমন্ত্রীর কথার পরে মেটেনি সমস্যা। শেয়ার বন্টন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা বজায় রয়েছেই। আইএসএল (isl) এ প্রায় সব ক্লাবই দল গুছিয়ে নিয়েছে।
লাল হলুদ কর্তারা প্রথমে চান ৫০-৫০ শেয়ার বন্টন হোক কিন্তু ইমামি গোষ্ঠী চেয়েছিল ৮০-২০ হোক। অবশেষে ৭৪-২৬ শতাংশ শেয়ারে বন্টনে দুই পক্ষই রাজি এমন খবরও শোনা যাচ্ছে। কিন্তু সই করতে কোথায় আপত্তি সেটার উত্তর পাচ্ছে না কেউই।
গত সপ্তাহে লাল হলুদ শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার অদ্ভূত যুক্তি দেন। তিনি জানান,একটা বাড়ি রেজিস্ট্রি করতেও নিদিষ্ট সময় লাগে। তিনি এদিন জানালেন,” সবকিছুরই একটা পদ্ধতি আছে একটা লম্বা প্রক্রিয়া। দুই পক্ষের সম্মতি আছে। একটু সময় তো লাগবেই। একটা বাড়ি রেজিস্ট্রি করতেও কিছুদিন সময় লাগে সেখানে একটা ক্লাবের ফুটবল রাইটস হস্তান্তর হচ্ছে। আমরা আশাবাদী খুব তাড়াতাড়ি এই অবস্থা কাটিয়ে উঠব।”