এনএফবি, কোচবিহারঃ
রাজ্য সরকারের ঘোষণা বাস্তবায়িত করতে আজ থেকে মাথাভাঙ্গায় আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হল প্লাস্টিক ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ। এদিন সকালে কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নয়া সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়ের হাত ধরে কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট শিল্প গড়ার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নের কাজ শুরু হল ৷
কোচবিহার জেলা পরিষদের উদ্যোগে মাথাভাঙ্গা ১ নং পঞ্চায়েত সমিতি, ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যবস্থাপনায় হাজরা ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্লাস্টিক ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের কাজের আনুষ্ঠানিক ভাবে সূচনা করা হল ।
এদিনের এই কাজের শিলান্যাস করেন উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় ৷ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ সুচিস্মিতা দেব শর্মা, কোচবিহার জেলা পরিষদের সেক্রেটারি রানা বিশ্বাস, মাথাভাঙ্গা ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুজাতা বর্মণ, বিডিও সম্বল ঝা, কোচবিহার জেলা পরিষদের সদস্যা শুক্লা বিশ্বাস, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নজরুল হক, বিশিষ্ট সমাজসেবী কমলেশ অধিকারী, কামাল হোসেন, চন্দন দাস, মাথাভাঙ্গা পুরসভার নবনির্বাচিত কাউন্সিলর লক্ষপতি প্রামানিক, প্রবীর সরকার, চন্দ্র শেখর রায় বসুনিয়া, হাসিনার ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেফালী বর্মন, উপপ্রধান হাসেম আলী সহ বিভিন্ন অতিথিবর্গ।
এদিন জেলা পরিষদের সেক্রেটারি রানা বিশ্বাস বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা এবং শহর থেকে বেশ কিছু প্লাস্টিক যেগুলো ব্যবহার করে মানুষ ফেলে দেয় সেগুলো সংগ্রহ করে এনে এই কারখানায় রিসাইক্লিং করা হবে , তারপর তা পিচে পরিণত করা হবে, সেই পিচ দিয়ে রাস্তার কাজ করা হবে। এতে জঞ্জালমুক্ত মাথাভাঙ্গা যেমন হবে অপরদিকে বেশ কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হবে। মিশন নির্মল বাংলার অঙ্গ হিসাবে এই প্রথম কোচবিহার জেলা পরিষদের উদ্যোগে মাথাভাঙ্গায় এই প্রোজেক্ট চালু হচ্ছে। এতে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা।
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থ প্রতিম রায় বলেন, কোচবিহার জেলা পরিষদ যে উদ্যোগ নিয়েছে অবশ্যই সেটা ভালো উদ্যোগ। এই উদ্যোগের মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।
কোচবিহার জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ সুচিস্মিতা দেব শর্মা বলেন, কোচবিহার জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এই প্রথম মাথাভাঙ্গাতে এই প্রোজেক্টের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো। প্রায় তিন মাস ধরে এই কাজ চলবে। তারপর কারখানার কাজ শেষ হয়ে গেলে প্লাস্টিক এবং বর্জ্য পদার্থ দিয়ে পিচ তৈরির কাজ শুরু হবে। আজকের এই কর্মসূচিকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং সাধারণ মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় ৷
