জুলাই 8, 2024
Latest:
উৎসব আয়োজন

সর্ববৃহৎ হাটকে কেন্দ্র করেই আজও আয়োজিত হচ্ছে শতাব্দী প্রাচীন সরাইহাটের দুর্গা পুজো

এনএফবি,দক্ষিণ দিনাজপুরঃ

জেলার সর্ববৃহৎ হাটকে কেন্দ্র করেই আয়োজিত হয় সিংহ বাড়ির শতাব্দী প্রাচীন দুর্গা পুজো। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সরাইহাট সপ্তাহের মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে হাটে আগমন হয় ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের। প্রাচীন বৈদিক রীতি মেনেই সিংহ পরিবারের দুর্গা পুজো আয়োজিত হয়ে আসছে প্রায় ১০০ বছরের অধিক সময় ধরে। সাবেক মা পূজিত হন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সরাইহাটে।

জানা গেছে মন্দির পার্শ্ববর্তী প্রাচীন পুকুরেই পুজোর যাবতীয় কাজকর্ম হয়ে আসছে প্রথম থেকেই। সিংহ পরিবারের পুজোতে জেলার সর্ববৃহৎ হাটে আসা মানুষজন থেকে শুরু করে এলাকার প্রত্যেকটি মানুষ সার্বিকভাবে অংশগ্রহণ করেন।পুজোর কয়দিন উৎসবে মেতে ওঠে সরাইহাট গ্রামের বাসিন্দারা। দুর্গা পূজোর প্রত্যেকদিন ভোগ বিতরণ ও বিশেষ সন্ধ্যা আরতির রীতি রয়েছে অতীত কাল থেকেই। ইতিমধ্যেই পুজো উপলক্ষে সাজো সাজো রব সরাইহাটে। রাত দিন এক করে প্রতিমা তৈরি থেকে শুরু করে আলোকসজ্জার কাজে ব্যস্ত সিংহ পরিবারের মানুষজন ও এলাকাবাসীরা।

নিজস্ব চিত্র

এই প্রসঙ্গে সিংহ পরিবারের গৃহবধূ প্রীতি সিংহ বলেন”হাট কে কেন্দ্র করেই সিংহ পরিবারের পুজো আয়োজিত হয়ে আসছে শত বছর ধরে। পারিবারিকভাবে পুজোর সূচনা হলেও প্রথম থেকেই হাটে আসা মানুষজন সার্বিকভাবে পুজোতে অংশগ্রহণ করে আসছে।”
পুজো উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গণে ছোট মেলা আয়োজিত হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা কচি কাঁচারা আনন্দে মেতে ওঠে পুজোর কয়দিন। পারিবারিকভাবে পুজোর সূচনা হলেও বর্তমানে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর বিধানসভার সরাইহাট সিংহ বাড়ির পুজো হয়ে উঠেছে হাটের দুর্গা পুজো।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন দুর্গা পুজোর ইতিহাস। বর্তমানে থিম পুজোর উপর বিভিন্ন ক্লাব গুলি জোর দিলেও জেলার সরাইহাট দুর্গা পুজো আজও সাবেক রীতি ধরে রেখেছে প্রাচীন ঐতিহ্য মেনেই। থিম পুজোর বার বারন্তের সময়েও শতাব্দী প্রাচীন হাট কেন্দ্রিক পুজো আজও নিজস্ব মহিমায় জেলাবাসীর কাছে বিশেষ জায়গা করে রয়েছে।
সিংহ বাড়ির পুজো ইতিহাস সম্পর্কে পুরনো সদস্য অশোক সিংহ বলেন “শতাব্দী প্রাচীন পুজো কোনদিনও চাঁদা তুলে করা হয়নি। পাশাপাশি বর্তমানে এই পুজোয় বারোয়ারী পুজোর মতোই সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরিসমাপ্তি ঘটে। বিশেষ করে হাটে আসা মানুষজনদের সার্বিক অংশগ্রহণ ছাড়া এই পুজো যেন অসম্পন্ন।”