অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
হাতে গোনা কয়েকটা দিন তারপরই শুরু কাতার বিশ্বকাপ। এখন দেখে নেওয়া যাক ফুটবল বিশ্বকাপের পাঁচটি মনে রাখার মুহূর্ত।
দিয়েগো মারাদোনার সেরা বিশ্বকাপ গোলঃ
১৯৮৬ সাল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একক দক্ষতায় একটি করেন ফুটবলের জাদুকর। যা দেখে স্তম্ভিত হয়ে পড়ে গোটা বিশ্ববাসী। ইংরেজদের দলের প্রত্যেককে ডজ করে বল এগিয়ে নিয়ে গোলটি করেন তিনি। যা এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ গোল হিসেবে বিবেচিত হয়।
জর্ডান ব্যাঙ্কসের ‘সেভ অফ দ্য সেঞ্চুরিঃ
সালটা ১৯৭০। বিশ্বকাপের মঞ্চে ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড। ম্যাচটিতে তখন ব্রাজিলের হয়ে খেলছেন কিংবদন্তি পেলে। তাঁরই মারা শট, যা গোলে প্রায় প্রবেশ করেই যাচ্ছিল। এমনই সময়ে যেন অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করে দেখালেন ব্যাঙ্কস। পেলে মারা শটটিকে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে সেভ দেন ইংরেজ গোলরক্ষক। যা আজও হয়তো মনে রেখেছেন কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমী।
জিনেদিন জিদানঃ
২০০৬-এর বিশ্বকাপে ফরাসি এই ফুটবলার বিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের মাথায় গোত্তা মেরে ফেলে দেন। ইতালি বনাম ফ্রান্সের এই ম্যাচটি টানটান উত্তেজনায় চলছিল। এমনই সময় আচমকাই মার্কো মাতারাজ্জির মাথায় গোত্তা মেরে তাঁকে মাটিতে ফেলে দেন জিদান। তাঁর এই কীর্তি আজও মনে রেখেছেন অসংখ্য সমর্থক।
‘হ্যান্ড অফ গডঃ
ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত এবং চর্চিত গোল এটি। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই গোল করেছিলেন বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম নক্ষত্র দিয়েগো মারাদোনা। ইংরেজ গোলরক্ষক পিটার সিলটনের চোখের সামনে থেকে হাত দিয়ে গোল করে দিয়েছিলেন কিংবদন্তি আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।
হারাল্ড চুমেচারঃ
ঘটনাটা বছর ৪০ আগের। ১৯৮২-র বিশ্বকাপে জার্মানির মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্স। একটি আওয়ে বল চেজ করতে এগিয়ে আসছিলেন ফরাসি মিডফিল্ডার এবং অন্যদিক থেকে বলটিকে ক্লিয়ার করার জন্য এগিয়ে আসছিলেন হারাল্ড। এমনই জার্মান গোলরক্ষক ফরাসি ফুটবলারের মুখেই লাথি মেরে দেন। মাটিতে পড়ে যন্ত্রণায় লুটোপুটি খাওয়া তো দূর, মৃতদেহের মতো শুয়ে থাকতে দেখা যায় ফরাসি ফুটবলারকে। হাত-পা নাড়ানোর মতোও সামর্থ ছিল না তাঁর। বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে হারাল্ডের ঘটানো এই ঘটনা হাড়হিম করে দিয়েছিল ফুটবলপ্রেমীদের। শোনা যায়, তাঁর এই ঘটনা দেখার পর বেশ কিছু খেলোয়াড় এবং মাঠে উপস্থিত বেশ কিছু সমর্থক মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে অসুস্থ বোধ করেছিলেন।