এনএফবি, নিউজ ডেস্কঃ
দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং সামাজিক অবিচারের মতো সমস্যা মোকাবিলার উদ্দেশ্য নিয়ে রবিবার বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে সামাজিক ন্যায়বিচার দিবস।
২৬ নভেম্বর, ২০০৭ তারিখে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ (UNGA) ঘোষণা করে যে ২০ ফেব্রুয়ারী প্রতি বছর “সামাজিক ন্যায়বিচার দিবস” হিসাবে পালিত হবে। জাতিসংঘের ঘোষণায় কর্মসংস্থান, সামাজিক সুরক্ষা এবং সামাজিক সংলাপের মাধ্যমে সকলের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ন্যায্য ফলাফলের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে।
এ বছর জাতিসংঘ দিবসটির মূল বিষয় ‘নিশ্চিত কর্মসংস্থানের (formal employment) মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার অর্জন’।
চলমান কোভিড-১৯ সংকটের কারণে, সামাজিক ন্যায়বিচারের দাবি আগের চেয়ে আরও স্পষ্ট এবং বৃহত্তর হয়ে উঠেছে। এই সংকট বিদ্যমান সামাজিক বৈষম্যকে আরও খারাপ করেছে। মহামারীর কারণে লাখ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছে। অর্থনৈতিক বিভাজন বেড়েছে।
ভারতে, বেশিরভাগ কর্মীই অনানুষ্ঠানিক খাতে। অর্থাৎ ভেন্ডর, কিংবা ব্যবসা এসবেই লিপ্ত হচ্ছেন মানুষ।চাকরিজীবীর সংখ্যা কমছে। পরিযায়ী শ্রমিক-সহ যারা মহামারির আগে অনিশ্চিত কর্মে (informal employment) যুক্ত ছিলেন তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
জাতিসংঘের মতে, বৈশ্বিক কর্মশক্তির ৬০% এরও বেশি ব্যবসার কাজে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। অনিশ্চিত কর্মে নিযুক্তদের প্রায়ই কোনো ধরনের সামাজিক সুরক্ষা থাকে না ফলে, নিশ্চিত কর্মীদের অর্থাৎ চাকুরীজীবীদের তুলনায় তাদের দ্বিগুণ দরিদ্র হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
জাতিসংঘ একটি বিবৃতিতে বলেছে, “নিশ্চিত কর্মসংস্থানে রূপান্তরকে উৎসাহিত করার জন্য সমন্বিত পদক্ষেপ ছাড়া, সামাজিক ন্যায়বিচার পূর্ণ হবে না।”