অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
ভারতীয় টেস্ট দল থেকে ঋদ্ধিমান সাহা বাদ পড়ার পরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। কিন্তু তার থেকেও উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরী হয় যখন এক সাংবাদিক ঋদ্ধিকে একপ্রকার হুমকি দেন। এই বিষয়ে ঋদ্ধির পাশে দাড়িয়েছেন বীরেন্দ্র শেহবাগ, হরভজন সিংরা। এবার ঋদ্ধির পাশে দাঁড়াচ্ছেন প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার আকাশ চোপড়াও। তিনি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে জানাচ্ছেন,’একজন সাংবাদিক, ঋদ্ধি তাঁর নাম বলেননি। আমি অনুমান করতেও যাচ্ছি না যে কে সেই সাংবাদিক! তবে সেই সাংবাদিক যেই হোক না কেন! ঋদ্ধিকে সে অপহরণ করার সুরে হুমকি দিয়েছে। সেই সাংবাদিকের কথার মধ্যে উনার অহংকার প্রকাশ পেয়েছে বলে আমার ধারণা। সেই সাংবাদিক ঋদ্ধিকে একপ্রকার হুমকি দেন।” ওই সাংবাদিকের মেসেজের স্ক্রিনশট পোস্ট করে ঋদ্ধি উল্লেখ করেছেন ওই ব্যক্তি একজন বড় সাংবাদিক। ক্যাপশনে লিখেছেন, “ভারতীয় ক্রিকেটে আমার সব অবদানের পরেও একজন তথাকথিত “সম্মানিত” সাংবাদিকের কাছ থেকে আমি এটাই দেখছি! সাংবাদিকতা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে।” সাহার শেয়ার করা স্ক্রিনশটে সাংবাদিক তাকে বলছেন, “আপনি আমার একটি সাক্ষাৎকার দেবেন। এটা ভালো হবে। তারা (নির্বাচকরা) মাত্র একজন উইকেটকে বেছে নিয়েছে। কে সর্বোত্তম, আপনি ১১ জন সাংবাদিক নির্বাচন করার চেষ্টা করেছেন, যা আমার মতে ঠিক নয়। সবচেয়ে বেশি সাহায্য করতে পারে এমন একজনকে বেছে নিন। আপনি কল করেননি আমি আর কখনো তোমার সাক্ষাৎকার নেব না এবং মনে রাখব।”এরপরেই তৈরী হয় বিতর্ক। জাতীয় দলের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী টুইট করে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বলেন যে, সেই অভিযুক্ত সাংবাদিককে খুঁজে বার করার জন্য। এরপরেই নড়েচড়ে বসে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। পুরো ঘটনা খতিয়ে তদন্ত করতে চায় বিসিসিআই। বোর্ড কর্তাদের বক্তব্য, “এটা সাহার একার প্রশ্ন নয়। প্রতিটি ক্রিকেটারের কথাই আমাদের শুনতে হবে। এই প্রক্রিয়ার জন্য নিরপেক্ষ পার্টির প্রয়োজন। সবার আগে প্রতিটি স্টেকহোল্ডারদের সম্মতি নিতে হবে। অনেক প্লেয়াররা রয়েছে। নির্দিষ্ট আধিকারিকদের কাছে গিয়ে মিডিয়া সম্বন্ধে তাদের উপলব্ধি এবং অভিযোগ জানাতে হবে। সকলের তদন্ত হবে। এমনকী প্রাক্তন কোচ থেকে সাপোর্ট স্টাফদেরও কথা বলতে হবে। সকলেই এক জায়গায় উপস্থিত হলে আমরা তদন্তকারী সংস্থাকে এই দায়িত্ব তুলে দিতে পারি। তাহলে একটা সকলেরই একটা স্পষ্ট ধারণা হয়ে যাবে।” যদিও সাহা বলেছেন, “এখনও পর্যন্ত বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আমার কোনও কথা হয়নি। তারা যদি আমাকে সাংবাদিকের নাম বলতে বলেন, আমি তা বলবো না। কারণ, আমি কারোর ক্যারিয়ার নিয়ে খেলতে চাই না। সেই কারণেই আমি টুইটে ওই সাংবাদিকের নামও শেয়ার করিনি। আমার বাবা-মা আমাকে এটা শেখায়নি। আমি সেই টুইটটি শেয়ার করেছি কারণ আমি দেখাতে চেয়েছিলাম যে মিডিয়ার কিছু সাংবাদিক একই কাজ করে।” সাহা আরও বলেছেন, “আমি আমার টুইটের মাধ্যমে এটাই বোঝাতে চেয়েছি যে, সাংবাদিক এটা করেছেন তিনি জানেন। আমি এই টুইটটি করেছি কারণ আমি চাই না যে কোনও খেলোয়াড়কে এই সমস্ত কিছুর মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। আমি এই বার্তা পাঠাতে চেয়েছিলাম যে, যা করা হয়েছে তা সঠিক নয় এবং যাতে কেউ আবার তা করতে না পারে।”
আরও পড়ুনঃ ঋদ্ধিকে অপমান, হুমকি সাংবাদিকের, নাম জানতে চাইবে বোর্ড