জুলাই 8, 2024
Latest:
ক্রীড়া

পয়লা বৈশাখে প্রকাশ অভিষেকের ক্লাবের লোগো

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

নববর্ষতে কলকাতা ময়দানে বারপুজো হওয়া রেওয়াজ। ছোটো থেকে বড় সব ক্লাবই নিজেদের মত করে ময়দানে বারপুজো করে। সেই রীতি মানছে তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাব ডায়মন্ড হারবারও। বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিষেকের ক্লাবের টিজার এল প্রকাশ্যে। ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে অভিষেক নিজেই শট নিচ্ছেন। ফুটবলে ৩৫ সেকেন্ডের টিজার। পয়লা বৈশাখে মুক্তি পাবে ক্লাবের লোগো।
এবার কলকাতা লিগে প্রথম ডিভিশনে খেলতে দেখা যাওয়ার সম্ভবনা প্রবল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাব ডায়মন্ড হারবার কে। এখনও পযর্ন্ত যা খবর, ‘ডায়মন্ডহারবার ফুটবল ক্লাব’ নামেই হয়তো লিগে খেলতে দেখা যাবে। এই ক্লাবের পুরো দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য্যর হাতে। তাঁকেই সচিব করা হয়েছে। সভাপতি করা হয়েছে গৌরাঙ্গ ব্যানার্জিকে। আর কোচ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে আর এক প্রাক্তন ফুটবলার কৃষ্ণেন্দু রায়কে। প্রসঙ্গত রাজ্যে ফুটবল নিয়ামক সংস্থার পদাধিকারীদের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে। নিয়ম মেনেই লিগ খেলতে চেয়ে আবেদন পত্র জমা দেওয়া হয়েছে । আইএফএ-এর অনুমতি পাওয়াটা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য বলেন,”মাননীয় সাংসদ(অভিষেক ব্যািনার্জি) বহুদিন আগেই বলেছিলেন,তাঁর ফুটবল ক্লাব কলকাতা ফুটবল লিগে খেলানোর চেষ্টা করছেন। তিনি কথা দিয়েছিলেন। কথাও রাখলেন। আমাকে সচিব করা হয়েছে। কোচ করা হয়েছে কৃষ্ণেন্দু রায়কে। এবছর সময় কম। তবু ভাল করে দল গড়ার চেষ্টা করব। তবে পরের বছর আরও ভাল করে দল গড়ব। মাননীয় সাংসদ ডায়মন্ডহারবারে সাফল্যেরর সঙ্গে এমপি কাপ করে আসছেন। পরের বার আমরা এমপি কাপ থেকেই লিগের ফুটবলার বেছে নেব।”
কয়েক বছর আগে উৎপল গাঙ্গুলি যখন আইএফএ সচিব ছিলেন, তখন একটি নিয়ম করেছিলেন। আইএফএ-এর অর্থাভাব কাটাতে নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে সরাসরি কলকাতা লিগে খেলার জন্য কিছু ইচ্ছুক ক্লাবকে ছাড়পত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন উৎপলবাবু। ২০১৫ সালে এই নিয়মেই সরাসরি কলকাতা লিগে খেলা শুরু করে আইএফএ-এর বর্তমান সচিব জয়দীপ মুখার্জির “বিএসএস” ক্লাব ও এটিকে মোহনবাগান।পরবর্তীকালে তৃতীয় ডিভিশনে সরাসরি লিগে খেলার ছাড়পত্র পায় ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের “সুরুচি সংঘ” ও বিওএ-এর তৎকালীন সচিব ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোট ভাই স্বপন (বাবুন) বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের “কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্স ক্লাব।” নিয়ম মেনেই কলকাতা ফুটবল লিগের তৃতীয় ডিভিশনে খেলা শুরু করেছিল তারা।

একই সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল ও সিএবির প্রাক্তন কর্তা সুবীর (বাবলু) গাঙ্গুলির উদ্যোগে পাইকপাড়া স্পোর্টিং ক্লাব আইএফএ-এর নিয়ম মেনেই চতুর্থ ডিভিশনে খেলার ছাড়পত্র পায়।