বাড়িতে পানীয় জলের ডবল সংযোগ বিছিন্ন করবে পুরসভা, ঘোষণা রবির
এনএফবি,কোচবিহারঃ
পানীয় জলের ডবল সংযোগ থাকা বাড়ি গুলো থেকে একটি সংযোগ কাটার সিদ্ধান্ত কোচবিহার পুরসভার। আজ কোচবিহার জেলা শাসকের দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং জেলা শাসক পবন কাদিয়ান।
এদিন, রবীন্দ্রনাথ বাবু জানান, কোচবিহার শহরে তোর্সা নদীর জল পরিশ্রুত করে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য বহু বাড়িতে নতুন করে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। পানীয় জলের ওই নতুন প্রকল্পে এতোদিন সকালে ১ ঘণ্টা করে জল দেওয়া হতো৷ এবার তা বাড়িয়ে দুই বেলা এক এক ঘণ্টা করে দুবার দেওয়া হবে। নতুন লাইনের পাশাপাশি অনেক বাড়িতে পুরোনো লাইনের সংযোগও রয়েছে। ফলে একই বাড়িতে ডবল সংযোগ থাকায় জল অপচয়ের ঘটনা ঘটছে। তাই ডবল লাইন থাকা বাড়ি গুলো থেকে একটি সংযোগ ছিন্ন করার কথা ভাবা হয়েছে। খুব শীঘ্র তা বোর্ড মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়ে ওই সংযোগ ছিন্ন করার কাজ শুরু হবে বলে রবীন্দ্রনাথ বাবু জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, “নতুন প্রকল্পে আরও কয়েক কিলোমিটার পাইপ বসানো ও সংযোগ দেওয়ার কাজ বাকি রয়েছে। সেটাও খুব শীঘ্র যাতে টেন্ডার ডেকে কাজ শুরু করা যায়, তার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। নতুন প্রকল্পে যাতে কোন ভাবে ব্যঘাতের সৃষ্টি না হয়, সে জন্য বিকল হয়ে থাকা তিন ভাল্ভ খুব দ্রুত কেনা হবে।”
এদিকে ডবল সংযোগের একটি সংযোগ ছিন্ন করলে পানীয় জল নিয়ে ফের শহরে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন । অনেক বাসিন্দাই জানিয়েছেন, বেশ কিছু বাড়িতে নতুন প্রকল্পের লাইনে জলের গতি নেই। তাই সেটাকে শুধুমাত্র পানীয় জল হিসেবেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পুরোনো সংযোগের জলে জামা কাপড় ধোয়া এবং স্নানের কাজ হয়ে থাকে। সেটা বন্ধ হয়ে গেলে পানীয় জল নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন অনেক বাসিন্দাই।
কোচবিহারে পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভুগতে হচ্ছিল বাসিন্দাদের। ওই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে প্রয়াত চেয়ারম্যান বীরেন কুণ্ডুর উদ্যোগে তোর্সা নদীর জলকে পরিশ্রুত করে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প তৈরির কাজ শুরু হয়। ওই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার আর্থিক বরাদ্দও মেলে। অনেক টালবাহানার পর ওই প্রকল্প শুরু হলেও সকলের বাড়িতে সেই সংযোগ পৌঁছে দেওয়া যায়নি। ফলে পানীয় জল নিয়ে সমস্যাও মেটেনি বহুদিন। এরপর উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী থাকার সময় রবীন্দ্রনাথ বাবুর উদ্যোগেই বেশ কিছু নতুন পাম্প বসানো হয়। এরপরেই পানীয় জল সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয় বলে জানা গিয়েছে।
