জুলাই 3, 2024
Latest:
ক্রীড়া

এগারোর বিশ্বকাপ ফাইনালের রাতই সচিনের জীবনের সেরা মুহূর্ত

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

আগামী রবিবার ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ একদিনের সিরিজ শুরু। নরেন্দ্র মোদী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই ম্যাচ ভারতের মাটিতে হওয়া এক হাজার তম ওয়ানডে ম্যাচ। আর ভারতের হয়ে সবথেকে বেশি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন সচিন রমেশ তেন্ডুলকার। ৪৬৩টি ওয়ান ডে ম্যাচে সচিন করছেন ১৮৪২৬ রান। ঝুলিতে আছে ৪৯ টি সেঞ্চুরি ও ৯৬ টি হাফ সেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ ২০০ রানের অপরাজিত ইনিংস ভারতের মাটিতেই ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে করেন মাস্টার ব্লাস্টার। এখনও সচিনের একদিনের ক্রিকেটে মোট রান ও মোট শতরানের রেকর্ড অক্ষত সেটা কোনো ব্যাটার ভাঙতে পারেননি। তবে সচিন নিজের রেকর্ডের থেকে তার ২০১১ সালে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্তকেই জীবনের সেরা মুহূর্ত বলছেন। এক সাক্ষাৎকারে মাস্টার ব্লাস্টার জানান, “দেশের হয়ে সবথেকে বেশি এত ওয়ানডে ম্যাচ খেলা গর্বের তো বটেই। কিন্তু যখন আমার এগারো বছর বয়স ছিল, আমার স্বপ্ন ছিল দেশের হয়ে কিছু মরশুম খেলার। অবশ্যই টেস্ট ক্রিকেট আমার কাছে আসল ক্রিকেট ছিল। তারপর ওয়ানডে ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে যাই।” এরপরেই সচিন বলেন,”যখন ভারত ৮৩ সালে বিশ্বকাপ জিতল, আমি স্বপ্ন দেখতাম আমিও দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জিতছি। বিশ্বকাপ জয়ের আশা নিয়েই ক্রিকেট খেলা শুরু করি। আর ঘরের মাঠে মুম্বইয়ে সেটা সম্ভব হল। এর থেকে ভালো জিনিস আর কিছুই হতে পারে না। ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের রাত আমার জীবনের সেরা সময়।” প্রসঙ্গত ২ এপ্রিল, ২০১১তে শ্রীলঙ্কাকে ছয় উইকেটে হারিয়ে আঠাশ বছর পরে বিশ্ব জয় করে ধোনির ভারত। এরপরে সচিন নিজের অতীতের স্মৃতিতে গিয়ে বলেন, “যখন আমি প্রথম দেশের হয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৮ ডিসেম্বর ওয়ানডেতে মাঠে নামি সেদিন আমার বাবার জন্মদিন ছিল। তখন লাল বলে ওয়ানডে হত। তারপর ডে নাইট ম্যাচ এল ২০০০ সালে। প্রথম ম্যাচ ডে নাইট জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ছিল। এরপরে পাওয়ার প্লেয়ের নিয়ম এল। অনেক কিছু পরিবর্তন এল। প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচও পাকিস্তান ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলি আমি ২০১২ সালে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছু বদল এসেছিল। নিজেকে রপ্ত করতে হয়েছে।” সচিনকে ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বকালের সেরা ওপেনার ভাবা হয়। সেই বিষয়ে মাস্টার ব্লাস্টার্স জানান, “একটা ম্যাচে ওপেনার নাভজোত সিং সিধুর চোট ছিল ১৯৯৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। আমি তখন মিডল অর্ডারে ব্যাট করতাম। আমি টিম ম্যানেজমেন্টকে বলি যে আমি আত্মবিশ্বাসী ওপেনিং করে রান পাব। কারণ পরে নেমে বেশি বল পেতাম না খেলার জন্য। আমার উপর দল ভরসা রাখে। আগে ক্রিকেটে ওপেনাররা ইনিংস বাঁচানোর কাজ করত। কিন্ত ১৯৯৬ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার সনৎ জয়সূর্য ও রমেশ কালুউইরানা ওপেনিংয়ে ইনিংসে আক্রমণ করা শুরু করে।” এছাড়া শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার ১৯৯৮ সালে করা ২৫২ রানের ওপেনিং পার্টনারশীপকে সেরা বলেন সচিন। বর্তমান ভারতীয় দলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের তাঁদের পাশে থাকা কথা বলেন মাস্টার ব্লাস্টার।