অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
আসন্ন ফুটবল মরশুমের জন্য জার্সি উন্মোচন করল কলকাতার অন্যতম প্রাচীন ডালহৌসি অ্যাথলেটিক ক্লাব। শনিবার বিকেলে ক্লাব তাঁবুতে একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট প্রাক্তন ফুটবলার ও অতিথিদের সামনে নতুন জার্সি প্রকাশ করা হয়। ছিলেন আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত, চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত, মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত, প্রাক্তন ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্য, মোহনবাগান তারকা কিয়ান নাসিরি ও ইস্টবেঙ্গল তারকা হীরা মণ্ডল।
১৪২ বছরের প্রাচীন এই ক্লাব কলকাতা ফুটবল লিগে প্রথম ডিভিশনে খেলে। এবার প্রিমিয়ার ডিভিশনে খেলাই লক্ষ্য ক্লাব কর্তাদের। সেই উদ্দেশ্যে ঢেলে সাজানো হচ্ছে ক্লাবের ফুটবল পরিকাঠামো। বিগত ৫ বছরের মতো এবারেও সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস-এর তরফে এবার মূল স্পনসর হিসেবে ক্লাবের পাশে থাকার অঙ্গীকার করা হয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার কর্ণধার শুভঙ্কর সেনও।
ক্লাবের তরফে এদিন সংবর্ধনা জানানো হয় বিশিষ্ট তরুণ ফুটবলার মোহনবাগান তারকা কিয়ান নাসিরি ও ইস্টবেঙ্গল তারকা হীরা মণ্ডলকে। সম্মান জানানো হয় বিশিষ্ট প্রাক্তন ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্যকেও। এছাড়াও ক্লাবে 5A সাইড ফুটবল ও ফুটসল টুর্নামেন্টেরও আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এজন্য ক্লাবের মাঠ ও ড্রেসিংরুমও নতুনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। আইএফএ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত জানালেন, এমন প্রাচীন ক্লাবগুলো বাংলা ফুটবলের গর্ব। অনেক ইতিহাস ছড়িয়ে রয়েছে এমন ক্লাবে। এই ধরণের ক্লাব এগিয়ে যাক আমরা সেটাই চাই। আইএফএ এই ধরণের ক্লাবের পাশে সবসময় আছে।
প্রাক্তন ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচাৰ্য জানালেন,” এই ধরণের ক্লাব থেকেই তো অতীতে ফুটবলাররা উঠত। কিন্তু খারাপ বিষয়, আসতে আসতে এই ক্লাব গুলো শেষ হয়ে যাচ্ছে। এমন ক্লাব আধুনিক হচ্ছে খুব ভালো কথা। কিন্তু তার সঙ্গে ফুটবলটাও যেন সমান তালে চলে সেটা চাইবো।” আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত জানালেন,” আমি এক সপ্তাহ হয়নি সচিব হয়েছি। কিন্তু আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি এই ক্লাবের পাশে আমি সবসময় থাকব। বাংলার ফুটবল আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে স্পনসর আসছে এটা ভালো বিষয়।” মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত জানালেন,” এই ধরণের ক্লাবই বাংলা ফুটবলের সাপ্লাই লাইন। ডালহৌসির মতো ক্লাবে খেলেই ফুটবলাররা মোহনবাগান -ইস্টবেঙ্গল খেলার স্বপ্ন দেখতো। মোহনবাগান সবার প্রথম কলকাতা ময়দানে কর্পোরেট ভাবনা নেয়। কারণ বর্তমান সময়ে কর্পোরেট ছাড়া ফুটবল চলবে না, ডালহৌসি এটাকে অনুসরণ করল খুব ভালো দিক।”