অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
হারের ধারা বজায় রাখল এসসি ইস্টবেঙ্গল। প্লে-অফের লড়াইয়ে ধুকতে থাকা ওড়িশা এফসি’কে নতুন করে অক্সিজেনের জোগান দিল লাল-হলুদ। প্রথম লিগে ওড়িশার বিরুদ্ধে ৪-৬ হারার পর সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয় লিগেও হারল ১-২ ব্যবধানে। এই নিয়ে ১৬ ম্যাচের মধ্যে আট ম্যাচে হারল লাল-হলুদ শিবির। তবে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে হারের পর লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ মারিও রিভেরা জানিয়ে দেন এই ম্যাচে তাদেরই জয় প্রাপ্য ছিল। এমনকী এ-ও দাবি করেন যে, ওডিশা এফসি-র চেয়ে অনেক ভাল খেলেছে তাঁরই দল।
সোমবার ম্যাচের পরে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মারিও বলেন, ” আমার মনে হয়, ম্যাচটা জেতার সুযোগ পেয়েছিলাম আমরা। ওদের চেয়ে আজ আমরা ভাল খেলেছি, সুযোগও পেয়েছি বেশি। ম্যাচটা ভাল করে দেখলে বুঝবেন, আমাদেরই জেতা উচিত ছিল। আমরা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারিনি।” অরিন্দমের পরিবর্তে শঙ্কর এবং হীরার জায়গা পরিবর্তন করে নাওচাকে প্রথম একাদশে আনা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে মারিও বলেন, “অনুশীলনে সব গোলকিপারই যথেষ্ট ভাল খেলে। ওরা প্রত্যেকেই ম্যাচে নামার জন্য তৈরি। শঙ্কর আজ ভাল খেলেছেও। গত ম্যাচে যেমন অরিন্দম ভাল খেলেছিল। পাশাপাশি হীরা ও নাওচা দু’জনেই ভাল খেলেছে। কখনও উঠে বা কখনও নেমে খেলেছে। তবে ওরা আজ সাইড ব্যাকের চেয়ে উইং ব্যাকের কাজটা করেছে বেশি। ওদের জন্য আমি গর্বিত। ওরা আরও উন্নতি করতে চায়। সব সময় ভাল খেলার চেষ্টা করে। এই প্রবণতাটা খুবই ভাল।”
ফ্রান সোতার এখনও লাল-হলুদ জার্সিতে অভিষেক হয়নি। কবে খেলতে দেখা যাবে সোতাকে, এই বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি বলেন, “চার জনের বেশি বিদেশি খেলাতে পারব না। তাই সিদ্ধান্তটা মাঝে মাঝে বেশ কঠিন হয়ে ওঠে। আমরা সোতাকে দ্বিতীয়ার্ধের জন্যই রেখেছিলাম। দলের সব বিদেশিই আজ ভাল খেলেছে। ওরা প্রত্যেকেই প্রত্যাশার চেয়ে ভাল খেলছে। ওরা আমাদের ম্যাচ জেতাতে পারে।”
আর মাত্র বাকি চার ম্যাচ। বাকি ম্যাচগুলি নিয়ে পকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে মারিও বলেন, “আপাতত পরের ম্যাচটা জেতার পরিকল্পনাই আছে। প্রতি ম্যাচে জেতার পরিকল্পনা নিয়েই নামি আমরা। একটা ম্যাচ হয়ে যাওয়ার পরে পরবর্তী ম্যাচ জয়ের পরিকল্পনা শুরু হয়। জেতার চেষ্টাও করি। আজ নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন সমতা আনার পরে ম্যাচটা কী ভাবে জেতার চেষ্টা করেছি আমরা। ড্রয়ে মোটেই সন্তুষ্ট নই আমরা। আমাদের প্রতি ম্যাচেই জেতার চেষ্টা করতে হবে।”