অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
মঙ্গলবার হ্যামিল্টনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১০০ রানের বড় জয়ের পর ৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ভারত চলমান আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপ ২০২২-এর সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে। স্নেহ রানা চার উইকেট নিয়েছেন মাত্র ৩০ রান দিয়ে। বাকি ভারতীয় বোলারদের সম্মিলিত প্রদর্শনে বাংলাদেশ ১১৯ রানে অল আউট হয়ে যায় ৪০.৩ ওভারে।
ভারতীয় স্পিনাররা শুরু থেকেই রান তোলার গতি রুদ্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশকে দেখে একবারও মনে হয়নি তারা এই লক্ষ্য তাড়া করতে পারে। বাউন্ডারি মারা কঠিন হচ্ছিল বাংলাদেশী ব্যাটারদের। প্রয়োজনীয় রান-রেট যত বাড়তে তত ঝুঁকিপূর্ণ শটও বাড়ে এবং উইকেট পড়া শুরু হয়। সালমা খাতুন ৩৫ বলে ৩২ রান করে তাদের সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন এবং পরবর্তী সেরা লতা মন্ডল (২৪)। বাকিরা কেউ ২০ রানের গণ্ডীও অতিক্রম করতে পারেননি। স্নেহ ছাড়া ঝুলন গোস্বামী এবং পূজা ভাস্ত্রাকার দুটি করে উইকেট নেন।
দিনের শুরুতে ইয়াস্তিকা ভাটিয়ার ৩য় ওডিআই হাফ সেঞ্চুরি ভারতকে ৫০ ওভারে ২২৯/৭-এর স্কোরে পৌঁছতে সাহায্য করে। ব্যাটিং ক্রমের ৩ নম্বরে নামা বাম-হাতি ব্যাটারের টানা দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি ছিল এটি।
ভারত এই ম্যাচের আগে ৫ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ২টিতে জিতেছিল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বড় জয় তাদের সেমিফাইনালে পৌঁছানোর আশা বাঁচিয়ে রাখল। সৌভাগ্যবশত, মঙ্গলবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও ম্যাচের উপর বৃষ্টির কোন প্রভাব পড়েনি।
একটি সময় ভারত কোন রান যুক্ত না করে ৩ উইকেট হারানোর পর হাল ধরেন ইয়াস্তিকা ভাইয়া ভারত তাদের আগের ম্যাচের ওপেনিং জুটি স্মৃতি মান্ধানা এবং শফালি ভার্মাকেই নামিয়েছিল এবং তারা দুর্দান্ত শুরু করেছিল। স্মৃতি তাঁর সময় নিয়েছিলেন, এবং ৫০ বলে ৩১ রান করেছিলেন। অন্যদিকে শফালি প্রথম ১০ ওভারে আক্রমণাত্মক ছিলেন।
কম স্কোরের জন্য প্রচণ্ড চাপে থাকা এই তরুণ ওপেনারকে তীক্ষ্ণ দেখাচ্ছিল, তিনি ৪২ বলে ৪২ করেন। ১৫তম ওভারে নাহিদা আক্তার স্মৃতির উইকেট পাওয়ার আগে ভারত ৭৪ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে। শফালি একটি ছক্কা এবং ৬টি বাউন্ডারি মারেন।
তবে ৫ ডেলিভারির ব্যবধানে ভারত ৭৪/০ থেকে ৭৪/৩ হয়ে যায়। সেখান থেকে ইয়াস্তিকা ইনিংস ধরে রাখার দায়িত্ব নেন। সহ-অধিনায়ক হরমনপ্রীত কউর ১৪ রানে রানে আউট হন। ইয়াস্তিকা এবং উইকেটকিপার রিচা ঘোষ পার্টনারশিপে হাফ সেঞ্চুরি করেন কিন্তু ৪৪তম ওভারের আগে ভারত তাদের উভয় সেট ব্যাটারকেই হারায়।