বিদেশি সইয়ে অসুবিধা নেই, মত ফিফা কর্তার

এনএফবি,স্পোর্টস ডেস্কঃ

বিদেশি সই করাতে কোনো অসুবিধাই হবে না ইস্টবেঙ্গল সহ বাকিদের ৷ তৃতীয়পক্ষ হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের কারণে ফিফার তরফে নির্বাসিত করা হয় ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে। আর এই নির্বাসনের পর কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল সহ একাধিক আইএসএল-এর দলগুলির। কারণ ইস্টবেঙ্গল সহ বেশ কিছু ক্লাবের বিদেশি সই করানো বাকি ছিল। তবে ফিফার রুল বুক অনুযায়ী এতে যে কোনও সমস্যার কিছু নেই তা পরিষ্কার করে দিলেন ফিফারই এক কর্তা।

এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারের সময় ফিফার এক কর্তা বলেন যে, ফিফা নিয়মাবলীর ১৬ নম্বর আর্টিকেলের ৩ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ফিফার ব্যানের প্রভাব ফুটবলারদের ওপর সরাসরি পড়বে না। যার ফলে ব্যান থাকলেও ভারতীয় ক্লাব খেলোয়াড় দলে নিতে পারবে।

ভারতীয় ফুটবল নিয়ামক সংস্থার ওপর ফিফার নির্বাসন নেমে আসার পর অনেকেই বিচলিত হয়েছিলেন। কারণ বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের সঙ্গে ভারতীয় ফুটবলের যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তাসখন্দে খেলতে গিয়েও আর খেলা হয়নি গোকুলাম কেরালার মহিলা দলের। এএফসি কাপে খেলার কথা রয়েছে এটিকে মোহনবাগানের। তবে নির্বাসন বহাল থাকলে টুর্নামেন্টে খেলা হবে না বাগানের।

ট্রান্সফার উইন্ডোর সময় ফিফার শাস্তি, ফলত বিপাকে পড়েছিল ভারতীয় ক্লাবগুলোও। বিদেশি ফুটবলার সই করানোর ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীনের আশঙ্কা করা হয়েছে। কিন্তু তেমনটা এখনও হয়নি।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ব্যানের পরেও ভারতীয় ফুটবলে বিদেশি খেলোয়াড় রেজিস্টার করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগ, আই লিগ ছাড়াও রাজ্য পর্যায়ের ক্লাবেও সই পর্ব চলেছে। ফিফার পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও আপত্তি জানানো হয়নি।এদিকে সোমবার COA (কমিটি অফ অ‍্যাডমিনিস্ট্রেটর্স) কে বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, COA-এর আর কোনও ক্ষমতা থাকবে না। একই সঙ্গে এআইএফএফের নির্বাচন সম্পন্ন করার জন‍্য সময় বাড়িয়ে তা পিছিয়ে দিয়েছে আদালত। এই মাসের ২৮ তারিখ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তা পিছিয়ে সম্ভবত সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হবে। নির্বাচন পরিচালনা করবেন ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী সচিব। ৩৬ সদস্যের ভোটার তালিকা তৈরি হবে। রাজ‍্য ফুটবল সংস্থার মনোনীত প্রার্থীরাই নির্বাচনে উপস্থিত থাকতে পারবেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রবিবার রাতে COA-কে সরানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছিল কেন্দ্র। সিওএ-র হস্তক্ষেপ তুলে নেওয়া, প্রাক্তন ফুটবলারদের ভোটাধিকার না দেওয়া এবং প্রফুল্ল পটেলের নেতৃত্বে থাকা দলকে এআইএফএফ-এর অংশ না করার আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্র।