এনএফবি, কোচবিহারঃ
ময়নাগুড়ি ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত ৯ জনের মধ্যে কোচবিহারের ৩ জন বাসিন্দার হদিস পাওয়া গেছে। ওই ৩ জন হলেন কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের চান্দামারি এলাকার চিরঞ্জিত বর্মণ(২৩), ফলিমারি দেওয়ানবস এলাকার সুভাস রায়(৩৮) এবং মাথাভাঙ্গা ২ নম্বর ব্লকের ফ্যাইসসাবাড়ি বাসিন্দা নবাব আলি(৪০)। এরমধ্যে নবাব আলির দেহ ইতিমধ্যেই তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। অন্য দুজনের দেহ নিয়ে আসার জন্য তাঁদের আত্মীয়স্বজনরা জলপাইগুড়িতে পৌঁছে গেছেন বলে জানা গেছে।
প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, ওই তিনজনই রাজস্থানের জয়পুরে শ্রমিকের কাজ করতেন। করোনা মহামারি ফের বাড়তে শুরু করায় তাঁরা বাড়িতে ফিরে আসছিলেন। কিন্তু বাড়ির কাছাকাছি এসেও তাঁদের আর বাড়ি ফেরা হল না। তাঁদের ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছাতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের সাতমাইল এলাকার বাসিন্দা তথা তৃণমূল শ্রমিক ও মজদুর সংগঠনের জেলা সহ সভাপতি অমল রায় বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের মৃত দুই জনের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা হয়েছে। সকলেই শোকস্তব্ধ। দেহ নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।”
গতকাল বিকেল ৫ টা নাগাদ গৌহাটিগামী বিকানির এক্সপ্রেস ময়নাগুড়ির দোমহনি স্টেশনের কাছে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়ে। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৩৬ জন। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে ২৩ জনকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এবং ৬ জনকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করা হচ্ছে। এছাড়াও অন্যান্য যাত্রীদের পৌঁছাতে রাজ্য সরকার এবং রেল কর্তৃপক্ষ তৎপরতার সাথে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো সহ রেল উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। ওই পথে রেল চলাচল স্বাভাবিক করতেও তৎপরতার সাথে কাজ শুরু হয়েছে বলে রেল দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।