জুলাই 5, 2024
Latest:
জেলা

বানেশ্বর শিব মন্দিরে একযোগে পূজাে তৃণমূলের তিন প্রাক্তন জেলার সভাপতির

এনএফবি, কোচবিহারঃ

দলের বর্তমান জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায় যখন মাথাভাঙ্গায় গিয়ে মাশান পূজায় অংশ নিচ্ছিলেন, ঠিক তখন একযোগে কোচবিহারের বানেশ্বরে প্রাচীন শিব মন্দিরে পূজা দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন তিন জেলা সভাপতি। ওই প্রাক্তন তিন জেলা সভাপতি হলেন বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিনয় কৃষ্ণ বর্মণ এবং তৃণমূলের বর্তমান জেলা কমিটির চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ। এছাড়াও ছিলেন তৃণমূল আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি পরিমল বর্মণ এবং কিষান ক্ষেত মজুর সংগঠনের জেলা সভাপতি খোকন মিয়াঁ।
নয়া কোর কমিটির তালিকা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেস কার্যত আড়াআড়ি ভাবে দুভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। ১১ জনের কোর কমিটিতে বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের নাম না থাকায় জেলায় দলের সাধারণ কর্মী সমর্থকদের একটা বড় অংশ প্রকাশ্যেই দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে প্রতিনিয়ত তাঁদের ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন। দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুবা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপেরও দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। একই ভাবে গিরিন্দ্রনাথ বর্মণ প্রকাশ্যেই জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়ের বিরুদ্ধে দল পরিচালনা নিয়ে স্বৈরাচারী মনোভাবের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি জেলা কমিটির চেয়ারম্যান হলেও তাঁকে কোন কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিত করা হয় না বলে প্রকাশ্যেই গিরিন বাবু অভিযোগ তুলেছেন। গতকালই গিরিন বাবুর এমন অভিযোগ নিয়ে সংবাদ মাধ্যম তোলপাড় হয়। এরপরেই এদিন প্রাক্তন তিন জেলা সভাপতির একযোগে গিয়ে পূজাে দেওয়ার ঘটনা ফের কোচবিহারের রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
যদিও এদিন ওই পূজাে দেওয়ার প্রসঙ্গ পুরোপুরি ভাবে রাজনীতির বাইরে বলে গিরিন বাবুরা দাবি করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “কোচবিহারের প্রাচীন মন্দির গুলোর ইতিহাস সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্ম কিছু জানেন না। তাই গিরীন্দ্রনাথ বর্মণের নেতৃত্বে আমরা প্রাচীন মন্দির সহ বিভিন্ন স্থাপত্য গুলোর ইতিহাস সম্পর্কে জানতে সেগুলো সরজমিনে পরিদর্শন এবং আলোচনার ব্যবস্থা করেছি। আমাদের সাথে ইতিহাস গবেষকরাও আছেন।” গিরিন বাবু বলেন, “কোচবিহার ঐতিহাসিক জায়গা। কোচবিহারের ইতিহাস আবার নতুন আঙ্গিকে একটা মাত্রা পাক, আমরা সেটাই চাই।” রাজনীতির প্রসঙ্গে কেউ কোন কথা বলতে চাননি। তবে রবীন্দ্রনাথ বাবু বিরোধী সমালোচকদের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেদের মুখটা একবার দেখার আবেদন জানিয়েছেন।