জুলাই 8, 2024
Latest:
স্থানীয়

টাকার বিনিময়ে নদী থেকে বালি পাচারের অভিযোগ তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে

এনএফবি,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই চলছে নদী থেকে বালি পাচার। আর তাতে নাকি মদত রয়েছে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের। বিস্ফোরক অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদীর বালি তোলা বন্ধ থাকলেও, কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে কাঁসাই নদীর বরোবাঁধ কেটে বালি তোলার লিখিত অনুমতি দিয়েছে স্বয়ং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বলে অভিযোগ।

মঙ্গলবার রাতে কাঁসাই নদীতে কৃষি কাজের জন্য দেওয়া বরোবাঁধ আটকে তাই রাত পাহারায় গ্রামের বাসিন্দারা। কিন্তু কেন? গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কয়েক দিন ধরেই পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামদেবপুর গ্রামের কাঁসাই নদীর বরো বাঁধের বালি কেটে পাচার হয়ে যাচ্ছে অন্যত্র।

কৌশিক সামন্ত। নিজস্ব চিত্র

কিন্তু হঠাৎ করে কে এই অনুমতি দিল, প্রশ্ন জাগে গ্রামবাসীদের মনে। তাই বালি পাচার বন্ধ করতে গ্রামবাসীরা ব্লক প্রশাসন ও গ্রাম পঞ্চায়েত এমনকি ভূমি দপ্তরের দ্বারস্থ হয় লিখিত অভিযোগ নিয়ে। আর সেই অভিযোগের পরেই বেরিয়ে আসে আসল তথ্য।

গ্রামবাসীরা জানতে পারেন যে বালি তোলার অনুমতি দিয়েছে রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অরুণ দোলই, তা আবার অর্থের বিনিময়ে। এতেই শুরু হয়ে গিয়েছে শোরগোল। গ্রামবাসীরা প্রশ্ন তুলছেন নদী থেকে বালি তোলার বৈধ অনুমতি কি দিতে পারে গ্রাম পঞ্চায়েত? আর এতেই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে বালি পাচারের অভিযোগ তুলছে বিরোধীদল থেকে শুরু করে এলাকার বাসিন্দারা।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মঙ্গলবার রাতে বরোবাঁধ পাহারা দেয় এলাকার মানুষজন। এলাকাবাসীদের দাবি, তথ্য লোপাটের জন্য রাতের অন্ধকারে এই বরোবাঁধ কাটিয়ে দিতে পারে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।

অভিযোগকারী। নিজস্ব চিত্র

লিখিত অভিযোগ পেয়ে বুধবার বিকেলে তড়িঘড়ি ব্লকের ভূমি দপ্তরের আধিকারিকরা বিষয়টি নিয়ে তদন্তে পাঠান প্রতিনিধিদল এলাকায়।

দাসপুর ১ ব্লকের ভূমি দপ্তরের আধিকারিক কৌশিক সামন্ত, স্বীকার করেছেন যে বালি অবৈধভাবে কাটা হচ্ছিল। ভূমি দপ্তর এই বিষয়টি কোনভাবেই কিছু জানত না। বালি যে তোলা হচ্ছিল অবৈধভাবে সেটি ক্যামেরার সামনে স্বীকার করে নিয়েছেন ব্লকের ভূমি দপ্তরের আধিকারিক।

ইতিমধ্যেই তিনি পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছেন। এই নিয়ে বুধবার ব্লক প্রশাসনের কাছে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক আছে বলেও তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন।

গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অরুণ দোলই বালি চুরির ঘটনা অস্বীকার করে তিনি বলেন,”ঝড়া কোদাল নিয়ে গ্রাম বাসীরা বালি কাটলে আমরা কি করতে পারি।”