এনএফবি, কলকাতাঃ
সোমবার মেয়ো রোডে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে মহা সমাবেশে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে এসএসসি নিয়োগের প্রসঙ্গ তোলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁর অভিযোগ, বিজেপি এবং সিপিএম- র তরফ থেকে কুৎসা রটানো হচ্ছে। তিনি এও বলেন, “কাজ করতে গিয়ে কোথাও ভুল হলে তা শুধরে নেওয়া যায় সুযোগ পেলে।”
এদিনের সমাবেশ থেকে বিজেপি-কে আক্রমণ করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন,”যারা খালি নেই নেই বলছে। অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে শিক্ষা নিয়ে। কোর্টে বিচারাধীন মামলা নিয়ে আমি কোনও কথা বলব না। আমাদের আমলে কত ছেলেমেয়েরা শিক্ষকের চাকির পেয়েছে আর সিপিএম-এর আমলে কী হয়েছে? পয়সা নিয়েছো আর চাকরি দিয়েছো। ওই গদ্দার অধিকারীরাই আমায় বলত। ওরাই সিস্টেমটা জানে। পার্টির নামে বদনাম করা হচ্ছে। এখনও বিচার হয়নি। মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। একটু সময় দিতে হবে। স্কুল এবং কলেজ নিয়ে মাত্র ১০ বছরে আমরা এক লাখ ৬৩ হাজার ৯৬৩ চাকরি দিয়েছি। আকাশবাবু, প্রকাশবাবু, বিকাশবাবুদের কাছে অভিযোগ গিয়েছে মাত্র ২০০-২৫০টা। অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বিচারপতি থাকাকালীন একটি রায় দিয়েছিলেন। কাজ করতে গেলে কোথাও ভুল হলে আমরা সেটাকে ঠিক করে নিতে পারি যদি সুযোগ দেওয়া হয়।”
তিনি আরও বলেন ,”ইডি – সিবিআই দিয়ে বাড়ি বাড়ি থেকে টাকা লুট করা হচ্ছে। তৃণমূলের নামে বদনাম করা হচ্ছে। পার্থও চোর, কেষ্টও চোর, ববিও চোর, অভিষেকও চোর, মমতাও চোর। সাধু কে? আমাকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, আমার কত সম্পত্তি? প্রজাদারি জমিতে থাকি আমরা। ৭০ বছর ধরে বাবা থাকতেন। আমি আর আমার মা থাকতাম। বাকি ভাই বোনেরা সব নিজেদের আলাদা সংসার আলাদা বাড়ি। ১৯৯১ সালের পর থেকে কোনওদিন এগজিকিউটিভ ক্লাসে চড়িনি। ১২ বছর ধরে কোনও টাকা নিইনি। বড় বড় কথা বলা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু বলে না তাই? আমি রাজনীতিতে এসেছিলাম সমাজসেবা করব বলে। অভিষেক কে ডাকা হয়েছে তার স্ত্রীকে ও ছাড়েনি কদিন পর তার দুবছরের বাচ্চাটার ও ডাক পড়বে ৷ এই ভাবে শাসক দলের গায়ে কালি ছেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে ৷”