এনএফবি,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
২০০২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের অন্তর্গত তিন নম্বর অঞ্চলের পিয়াশালা গ্রামে তৎকালীন সিপিএমের দোর্দন্ড প্রতাপ নেতা সুশান্ত ঘোষের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের ৭ কর্মীকে নারকীয়ভাবে মুখের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র রেখে গুলি করে হত্যা করা হয়। তারপর সেই মৃতদেহগুলি নিয়ে গিয়ে কেশপুরের পার্শ্ববর্তী বেড়াচাপড়ার দাসের বাঁধের মধ্যে মাটি চাপা দিয়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে তল্লাশি চালালেও কোনভাবেই খোঁজ পাওয়া যায়নি সেই তৃণমূল কংগ্রেসের ৭ কর্মীদের। এমনটাই অভিযোগ তৃণমূল নেতৃত্বের ৷
এরপর ২০১১ রাজ্যে পালাবদল হওয়ার পর লোকাল সিপিআইএম নেতৃত্বকে চাপ দিয়ে জানতে চাওয়া হয় সেই তৃণমূল কংগ্রেসের ৭ কর্মীর সন্ধান। তার পরবর্তীতে তারা জানায় দানা চামড়ার দাসের বাঁধে তাদেরকে মাটির মধ্যে পুঁতে রাখা হয়েছে। মৃতদেহ গুলি বের করার পর বেশ কয়েকটি নমুনা দেখে সনাক্তকরণ করেন তাদের পরিবারের লোকজনেরা। আর তারপর থেকেই আজকের দিনটি তৃণমূল কংগ্রেস শহীদ দিবস হিসেবে বরাবরই পালন করে এসেছে। এই দিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে মৃত পরিবারের এক সদস্য জানান, যারা এই নারকীয় ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে সরকারের তরফ থেকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ৷ ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৷ এই ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছে তারা কেউ ছাড় পাবে না।
এইদিন উপস্থিত ছিলেন কেশপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের নব সভাপতি প্রদ্যুৎ পাঁজা, সহ সভাপতি তথা শহীদ অজয় আচার্যর পুত্র শ্যামল আচার্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পানমনি মুর্মু সহ একাধিক নেতৃত্ববৃন্দ ।