অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের মদতে মোহনবাগানে এটিকে রিমুভ স্লোগান চলছে। এই মন্তব্য করে কলকাতা ময়দানে বিতর্ক সৃষ্টি করে দিয়েছেন মোহনবাগান সভাপতি টুটু বসু। এবার টুটু বসুর এই মন্তব্যর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে একহাত নিলেন ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। তিনি জানালেন,” মোহনবাগান সভাপতি নির্বাচনের আগে শুনেছিলাম যে উনি অসুস্থ আছেন। তাই ক্লাবে আসতে পারছেন না। আমার মনে হয় টুটু বাবু এখনও অসুস্থই আছেন তাই এমন মন্তব্য করছেন। উনার সুস্থতা কামনা করি।” প্রসঙ্গত নিজেদের ক্লাব সমর্থকদের এটিকে রিমুভ প্রসঙ্গে টুটু বসু জানিয়েছিলেন,” আমার তো সন্দেহ আছে এটা ইস্টবেঙ্গল ক্লাব করাছে কিনা! তিন বছর তিনটে ইনভেস্টর এলো ইমামি, শ্রী সিমেন্ট আর কোয়েস প্রত্যেক বছরই ওরা আইএসএল খেলার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন।” তবে এতকিছুর পরেও ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ইমামির চুক্তি ও দলগঠনে দেরি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। লাল হলুদ শীর্ষকর্তা জানালেন, দলগঠন তো হচ্ছেই। কিছু প্রক্রিয়া বাকি আছে সেই কারণে দেরি হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি সবকিছু ঠিকভাবেই শেষ হবে। নতুন করে ফুটবলাদের সঙ্গে চুক্তি করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে ইস্টবেঙ্গল। শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর থেকে ইনভেস্টর সমস্যায় ভুগছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই সময় ত্রাতা হয়ে ওঠেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ইস্টবেঙ্গলে বিনিয়োগের ব্যাপারে উৎসাহ দেখিয়েছিল ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ক্লাব ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তাদের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। প্রথমবার আইএসএল-এ খেলার জন্য ইনভেস্টর দরকার ছিল ইস্টবেঙ্গলের। বিশেষত পড়শি ক্লাব মোহনবাগান ততদিনে এটিকে-র সঙ্গে যুক্ত হয়ে এটিকে মোহনবাগান নাম নিয়ে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে খেলার ব্যবস্থা করে ফেলেছে। ফলে সমর্থকদের চাপ বাড়ছিল। সেই সময় কোয়েসের সঙ্গেও বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের।