জুলাই 5, 2024
Latest:
স্থানীয়

সরকারি সাহায্যের প্রত্যাশী বীনারানী

এনএফবি,আলিপুরদুয়ারঃ

ফের রাজ্যে চালু হয়েছে কোভিড বিধি নিষেধ। এরফলে বহু মানুষের টান পড়েছে রুজি রুটিতে। কি ভাবে চলবে তাদের সংসার? সেই চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে বহু মানুষের। এরকমই সমস্যার সম্মুখীন ফালাকাটার বীনা রানি সাহা (৪৭) । তাঁর বাড়ি ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বরে।স্বামীর মৃত্যুর পরে নিজের কোন ছেলে না থাকায় নিজেকেই হাল ধরতে হয়েছে সংসারের । সামান্য পুঁজি নিয়ে নিজেই নেমে পড়েছেন ঝালমুড়ি, ছোলা মটর বিক্রয় করতে। জটেশ্বরের বিভিন্ন এলাকা যেমন কখনও স্কুল গেটের সামনে, আবার কখনও এলাকার বিভিন্ন অনুষ্ঠান, মেলা,পূজা পার্বণে তিনি ঘুরে ঘুরে ঝালমুড়ি, মটর ,ছোলা বিক্রি করেন ।

জানাগেছে ,ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দেশবন্ধু পাড়ায় বীনারানী সাহার বাস। বিয়ে হয়েছিল মাধব সাহার সাথে। বীনারানী সাহার স্বামী মাধব সাহা পেশায় ছিলেন একজন ঝালমুড়ি, ছোলা, মটর বিক্রেতা। তিনিও বিভিন্ন স্কুলের সামনে বসে ওই সব খাবার বিক্রি করতেন। দুই মেয়ে নিয়ে ছিল তাদের অভাবের সংসার। স্বামীর সংসারে একটি ভাঙাচোরা বাড়িতে টেনেটুনে চলছিল বীনারানী সাহার চার সদস্যের সংসার। তারপর হঠাৎ স্বামীর মৃত্যু ঘটে। এর পর বীনারানীর সংসারে নেমে আসে অন্ধকার ৷ অভাব অনটন নিত্যদিনের সঙ্গী।। নিরুপায় হয়ে বীনারানী নিজেই শুরু করেন ওই ঝালমুড়ি, ছোলা, মটর বিক্রি। কিন্তু তাতেও বাধ সাধলো করোনা মহামারি । ফলে দারিদ্রতা কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না তাঁর।

সমরেশ পাল,পঞ্চায়েত প্রধান ৷ নিজস্ব চিত্র

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জটেশ্বরের বিভিন্ন এলাকায় তিনি ঝালমুড়ি মটর ছোলা বিক্রি করে দিনে আয় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।

অসহায় বীনারানী সাহা বলেন, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমি ঝাল মুড়ি বিক্রি করতাম। অনেক কষ্ট হয় সংসার চালানোর জন্য। আমার সংসার চালানোর মত কোন পুরুষ নেই। দুই মেয়ে ছিল তাদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে, বর্তমানে বাড়িতে আমি একা। তাই সারাদিন বিভিন্ন রাস্তায় ফুটপাতে বসে ঝাল মুড়ি বিক্রি করতাম। কিন্তু ফের করোনা আমার রুজিতে বাধা হয়ে দাঁড়ালো।কিভাবে যে বাঁচবো জানি না। তিনি আরও জানান, সরকারি কোন সাহায্য মেলেনি। বীনারানী সাহার এক প্রতিবেশী দিনোবালা বর্মন বলেন, ‘সমাজের বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ এই অসহায় মহিলার পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য।’

এবিষয়ে জটেশ্বর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সমরেশ পাল বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো, তবে ভাতা পাওয়ার কথা, সেই বিষয়েও একটু খোঁজ নিতে হবে।”