এনএফবি, বিনোদন ডেস্কঃ
ক্লিক ওটিটি (Klikk OTT) প্ল্যাটফর্মের আসন্ন ওয়েব সিরিজ ভিঞ্চি ভারতী ৷ এই ওয়েব সিরিজটির চিত্রনাট্য , সংলাপ এবং পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন সৌমিত দেব ৷
গল্পের প্রেক্ষাপটে রয়েছে IIC – Indie Institute of Creativity. এই IIC -তে চান্স পাওয়ার জন্যে প্রতিবছর যে পরীক্ষাটা হয়, সেটিকে বিশ্বের কঠিনতম পরীক্ষার মধ্যে একটি ধরা হয় কারণ পাসের হার 0.002%৷ Pretentious Parameter, Toxic Talent এবং Negligible Knowledge এই তিনটি বিষয়ের ওপর হয় পরীক্ষা। সারা দেশ থেকে প্রতিবছর দশ লক্ষের বেশী ছাত্র-ছাত্রী IIC পরীক্ষায় বসে, কিন্তু সিট মোটে 1984টি। এই IIC পরীক্ষায় তৈরী করার জন্যে সারা দেশে ছড়িয়ে, ছিটিয়ে রয়েছে প্রচুর নামীদামি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তাদের মধ্যে সবচাইতে প্রতিষ্ঠিত রেসিডেনশিয়াল কোচিং সেন্টারটি হলো ‘ভিঞ্চিভারতী অ্যাকাডেমী’।
আমাদের এই গল্পটাও শুরু হয় যখন স্ট্যান্ড-আপ কমিক শিলাদিত্যকে তার বাবা, IIC – পরীক্ষার জন্যে তৈরী হতে ভিঞ্চিভারতী অ্যাকাডেমীতে ভর্তি করতে নিয়ে আসেন। তারপর ছয়টি এপিসোড জুড়ে চলে অ্যাকাডেমীর গল্প। এপিসোডগুলি হলো যথাক্রমে ‘ইন্ট্রো’, ‘ওরিয়েন্টেশন’ ,’অ্যাসাইনমেন্ট’, ‘আনকমন রুম’ ,’হেলদি কম্পিটিশন’, ‘রেজাল্ট’
মূল কাহিনীতে গোটা গল্পটা আমরা দেখতে পাই দুটি ভাগে। একটি ভাগে এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র চারজন প্রাক্তন IICan কে দেখতে পাই যাদের রেজাল্টের দিন ডাকা হয়েছে থেকে বিশেষ সম্মান দিয়ে। এই চারজনকে আমরা যে জায়গাটিতে দেখতে পাই সেটির নাম Reality। এরই সঙ্গে চলতে থাকে ভিঞ্চিভারতী অ্যাকাডেমীর ভেতরকার গল্প যেটি অবস্থিত Delusion নামক একটি জায়গায়।
অ্যাকাডেমীতে এসে শিলাদিত্যের আলাপ হয় তার ব্যাচেরই আরও কিছু ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে যেমন থিয়েটার আর্টিস্ট অনুজয়, ‘ওভাররেটেড’ সাবজেক্টটিতে স্পেশাল পেপার করা ক্রিটিক শ্রেয়া, রকস্টার বাবি, স্ট্যাণ্ড আপ কমিক শাশ্বতী ইত্যাদি। সঙ্গে কৌশানী, সুলগ্না, পলাশ ইত্যাদি সিনিয়ারের সঙ্গেও আলাপ হয় তাদের আর বদলে যেতে থাকে এতদিনকার চলে আসা যাবতীয় বিশ্বাস।
প্রথমত, তাদের ইন্সটিটিউট থেকে বেরোতে দেওয়া হয় না কারণ আর্টিস্ট হতে গেলে Delusion-এ থাকা অভ্যাস করতে হয়। দ্বিতীয়ত, যেহেতু আর্স্টিস্টদের কোনো ধর্ম বা লিঙ্গভেদ ইত্যাদি নেই তাই এখানে ছেলে, মেয়ে, সিনিয়র, জুনিয়রকে থাকতে হয় একসঙ্গে। তাই কনসেন্ট বিষয়টা ঠিক কী, তাই নিয়ে কোর্স করতে হয় সঙ্গে শিখতে হয় বিবিধ নেশা । তৃতীয়ত এখানে প্রেম নিষিদ্ধ, একজনের সঙ্গে, কারণ আর্টিস্ট হতে গেলে পলিগ্যামি ইজ আ মাস্ট! চতুর্থত, এখানে না থাকা অভ্যাস করতে হয় কারণ আর্টিস্টদের যে খাওয়া জুটবে না এতো সর্বৈব সত্য।
এহেন নানাবিধ সমস্যা ও ভিঞ্চিবাবুর ডানহাত, ভাইস-প্রিন্সিপাল মোনালিসার কড়া নজরদারী, S.A.L.A অর্থাৎ সেল্ফ অ্যাপয়েন্টেড লিডার অফ আর্ট স্ট্রিমে পড়তে আসা কালচারাল হিটলারবাবুর ধ্যানধারণা এড়িয়ে চলতে থাকে শিলাদিত্যদের জীবন আর পড়াশুনো। এই এড়িয়ে চলার কাজে তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে অ্যাকাডেমির সকলের প্রিয় শিক্ষক অর্ণদা। নিজে Ex-IICan অর্ণ সকল ছাত্রছাত্রীদের সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে এগিয়ে আসে সর্বাগ্রে। সঙ্গে রয়েছে পল্লিশ্রী সবুজ বর্ধন, যে পাশ না করতে পেরে গত দশ বছর ধরে পড়ছে অ্যাকাডেমীতে আর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এখানে একটা স্টুডেন্ট ইউনিয়ন তৈরী করার।
এই সবের মাঝেই একদিন একটা অ্যাসাইনমেন্টে টপ করে শিলাদিত্য, অনুজয়, শাশ্বতী, শ্রেয়া আর বাবি এবং ওরা জানতে পারে এই অ্যাকাডেমির দুটো উইং আছে, একটা শিলাদিত্যদের Talented wing আরেকটা Chosen one দের উইং যারা জন্মেইছে আর্টিস্ট হবে বলে। এই দুই দলের মধ্যে শুরু হবে একটা কম্পিটিশন, Healthy Competition। শিলাদিত্যদের গাইড অর্ণ আর অন্য দলটার গাইড আভেরী। আভেরী অর্ণর মতোই Negligible Knowledge- এর অধ্যাপিকা এবং অর্ণর চাইতে অনেক বেশি রিসোর্সফুল। এই কম্পিটিশন যারা জেতে, তারা IIC’র ছ’মাস আগে Uncommon Room Access- এর পরীক্ষায় বসার সুযোগ পায়। তিনশোটা সিট আছে Uncommon Room-এ কারণ Uncommon Room যাদের IIC তাদের।
শুরু হয় প্রস্ততি, চলে পড়াশুনো, প্র্যাকটিস। আসে প্রেম যা কিনা নিষিদ্ধ আসে আরও নানাবিধ সমস্যা, জটিলতা আর এই সব কিছু পেরিয়ে কে জিতবে Healthy Competition, তাই নিয়েই এগিয়েছে প্রথম সিজনের এই ছ’টি এপিসোডের গল্প।
কলা কুশলী
চিত্রগ্রহণ – শুয়াভো মুখার্জি
শিল্প নির্দেশনা: মৃত্তিকা মুখার্জি
সঙ্গীত : প্রাঞ্জল দাস – সমীক গুহ রায়
বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন-
অর্ণ মুখোপাধ্যায়
শাঁওলি চট্টোপাধ্যায়
শ্রেয়া ভট্টাচার্য
সবুজ বর্ধন
আভেরী সিংহ রায়
শিলাদিত্য চ্যাটার্জী
পলাশ হক
দেবরাজ ভট্টাচার্য
দুর্বার শর্মা
অনুজয় চট্টোপাধ্যায়
শাশ্বতী সিনহা
সাগ্নিক বসু
পার্থপ্রতিম ব্যানার্জী
কৌশানী মুখোপাধ্যায়
সৌমিক মৈত্র
বিশেষ অতিথী শিল্পী – সমদর্শী দত্ত, তুহিনা পান্ডে