অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
তিনি মাঠে থাকলে এখনও যে কোনওকিছুই অসম্ভব নয় তা ফের একবার বুঝিয়ে দিলেন বিরাট কোহলি। ২০২১ বিশ্বকাপে তিনি রান পেলেও ভারত জিততে পারেনি। একবছর পর মেলবোর্নে সেই বিরাট কোহলিই পাকিস্তান বধের প্রধান নায়ক।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মেলবোর্নের মাঠে এদিন রানের ঝড় তুললেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। একাই শেষ করে দিলেন পাকিস্তানকে। বিরাট কোহলির বিধ্বংসী ইনিংসে ছারখার হয়ে গেল পাকিস্তান শিবির। সেইসঙ্গেই সমস্ত সমালোচকদের মুখটাও বোধহয় বন্ধ করে দিলেন বিরাট কোহলি। চার উইকেটে পাকিস্তানকে হারাল ভারত।
যে সময় বিরাট কোহলি মাঠে নেমেছিলেন সেই সময় ভারতীয় দল দুই উইকেট খুইয়ে বেশ চাপে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলকে জেতানোর দয়িত্বটা বোধহয় তিনিই নিজের কাঁধে তুলে দিয়েছিলেন। ৫৩ বলে ৮২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস যেমন খেলেছিলেন, তেমনই হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে সেঞ্চুরী পার্টনারশিপ গড়লেন তিনি। বড় মঞ্চ যে সবসময়ই একজন বড় ক্রিকেটারের সেটাই বুঝিয়ে দিলেন বিরাট কোহলি। শেষ ওভার পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থেকে পাকিস্তান বধের প্রধান কারিগর এদিন তিনিই।
টস জিতে এদিন প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতী দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। শুরু থেকেই লক্ষ্যটা ছিল পাকিস্তানকে কম রানের মধ্যে শেষ করে দেওয়া। সেই লক্ষ্যে ভারতীয় দলও কিন্তু শুরুটা বেশ ভালই করেছিল। গতবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাবর আজম ও মহম্মদ রিজওওয়ান কী করেছিলেন সেটা সকলেরই জানা রয়েছে। সেজন্য ম্যাচের শুরু থেকে এই দুই ক্রিকেটারের দিকেই নজর ছিল ভারতীয় বোলারদের। সেই কাজটাই রোহিত শর্মার অন্যতম প্রধান অস্ত্র আর্শদীপ সিং এদিন করে দিয়েছিল। অর্শদীপ সিং এদিন তাঁর প্রথম ওভারেই মহম্মদ রিজওয়ানকে সাজঘরের রাস্তা দেখিয়ে দেন তিনি। সেই শুরু। পরের ওভারেই এসে বাবর আজমকে সাজঘরের দিকে পাঠিয়ে গিয়েছিলেন অর্শদীপ সিং। আর পাকিস্তানের ওপর চাপ তৈরি করতে এই পারফরম্যান্সটাই যথেষ্ট ছিল। শুরু থেকেই এদিন পাকিস্তান ব্যাটারদের ওপর ভয়ঙ্কর চাপ তৈরি করেছিল ভারতীয় বোলাররা। অর্শদীপের পরই পাকিস্তান ব্যাটিং লাইন আপকে শেষ করার দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছিলেন হার্দিক। তিনি একাই নিয়েছেন তিন উইকেট।
যদিও শেষ দুটো ওভারে রান বেশি না দিলে পাকিস্তান আরও তাড়াতাড়িই শেষ হয়ে যেত। কিন্তু তা হয়নি শেষপর্যন্ত। শাহিন আফ্রিদির হাত ধরে ১৫৯ রানে পৌঁছয় পাকিস্তান। ভারতও কিন্তু শুরুটা করতে পারেনি সেভাবে। শুরুতেই লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মা ফিরে যান। সেই জায়গা থেকেই ম্যাচের হাল ধরেছিলেন বিরাট কোহলি। হার্দিকের সঙ্গে ১০০ রানের পার্টনারশিপ গড়েছেন তিনি। হার্দিরক পান্ডিয়া অবশ্য শেষপর্যন্ত থাকতে পারেননি। কিন্তু বিরাট কোহলি ছিলেন মাঠে। শাহিন থেকে হারিস রওফের ওভারে দেখা গেল সেই বিরাট কোহলির দাপট।