অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
‘ট্রফি জিতে দেখা হবে’। ইমামি কর্তা আদিত্য আগরওয়ালের এই একটা শব্দ যেন ইস্টবেঙ্গলের গত দুই বছরের নেভানো মশাল জ্বালিয়ে তুলল। আর হবে নাই বা কেন গত দুই বছরে লাল হলুদের যা পারফরমেন্স সেটা গুলিয়ে যেতে বাধ্য ইস্টবেঙ্গল না কোনো পাড়ার ক্লাব খেলছে। ইনভেস্টরের সঙ্গে চুক্তিপত্রতে সই সবকিছু নিয়ে শতবর্ষর ক্লাব যেন ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু সবকিছু এখন ঠিকের পথে। মঙ্গলবার ইমামির সঙ্গে চুক্তির আগেরদিন ক্লাবের জন্মদিনে ইমামি কর্তা ক্ষুদিরাম অনুশীলনে মঞ্চে উঠতেই সমর্থকেরা স্লোগান আর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন। ইমামি কর্তা জানালেন, ‘সবকিছু ঠিক হবে, আপনারা পাশে থাকুন ট্রফি নিয়ে এবার দেখা হবে।’ ক্লাবের প্রাক্তন ফুটবলার সমরেশ চৌধুরী জানালেন,’আমি গত দুই বছরের এই ভরাডুবি মানতে পারছি না। আমরা খেলতাম জেতার জন্য আর গত দুই বছরের ইস্টবেঙ্গলের পারফরমেন্স আমি মেনে নিতে পারছি না। আশা করছি ক্লাব ঘুরে দাঁড়াক ইমামির হাত ধরে এটাই চাই।’ লাল হলুদ শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানালেন,’নতুন দিন নতুন সকাল। মেঘ আসে কেটেও যায় ইস্টবেঙ্গলেও খারাপ সময় কেটে যাবে।’ ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ১০৩ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের শুভ সূচনা করলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ১ লা আগস্ট ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতিষ্ঠা দিবস।
শতাব্দী পেরিয়ে ১০৩ বছরে পদার্পন করলো লেসলি ক্লডিয়াস সরণির ক্লাবটি। সকাল সাড়ে এগারোটার সময় ইস্টবেঙ্গল স্কুল অফ এক্সসিলেন্সের খুদে খেলোয়াড়দের নিয়ে ক্লাব পতাকা উত্তোলন করেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। হাজির ছিলেন ক্লাবের প্রাক্তন খেলোয়াড়েরা এবং ক্লাবের কার্যকরী কমিটির সদস্যরা। উপস্থিত ছিল বহু লাল হলুদ সমর্থক। এর পরে ক্লাব তাঁবুতে অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রাজা সুরেশ চন্দ্র চৌধুরীর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন ক্রীড়ামন্ত্রী, প্রাক্তন খেলোয়াড়েরা এবং ক্লাবের কর্মসমিতির সদস্যরা। এর পরেই ক্লাবের প্রতীক দেওয়া সুদৃশ্য কেক কাটেন ক্রীড়ামন্ত্রী। ১০৩ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে সকাল থেকেই ক্লাব তাঁবুতে সভ্য সমর্থকদের উৎসাহ, উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো।