জুলাই 3, 2024
Latest:
জেলাফিচার

গরমকে উপেক্ষা করেই চলছে শীতকালীন কপি চাষ

এনএফবি, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ

তীব্র দাবদাহের মধ্যেও শীতকালীন কপি চাষের প্রবণতা বাড়ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন ব্লক জুড়ে। চিরাচরিত ঋতুভিত্তিক ধান, গম ও পাট চাষের পরিবর্তে অধিক মুনাফা লাভের আশায় অধিকাংশ চাষিরা এখন গ্রীষ্মকালীন কপি চাষে ঝুঁকছেন।
উন্নত ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে হাইব্রিড কপির চারা চাষ করে ইতিমধ্যেই এলাকায় সাড়া ফেলে দিয়েছেন বংশীহারী, কুশমন্ডি, হরিরামপুর, গঙ্গারামপুর ব্লকের বহু চাষীরা। উৎপন্ন কপি স্থানীয় কৃষক বাজার থেকে শুরু করে পৌঁছে যাচ্ছে জেলা সহ রাজ্যের অন্যান্য বড় বড় বাজার গুলিতে। দিন দিন অত্যন্ত চাহিদা বাড়ছে অসময়ে উৎপন্ন বাঁধাকপি এবং ফুলকপির।
জেলার বংশীহারী ব্লকের সরাইহাট মালম এলাকার কপি চাষী নিরেন মন্ডল এবছর তৃতীয় বার গ্রীষ্মকালে শীতকালীন কপি চাষ করেছেন। কপি চাষী নিরেন মন্ডল বলেন “দশ কাঠা জমিতে এক হাজার টাকার বীজ কিনে তিন হাজার চারা গাছ রোপন করেছি। মনে করছি এই বছরও ভালো ফলন হবে ফুলকপি ও বাঁধাকপির।” যদিও এলাকার অনেক চাষীদের মতে খারাপ আবহাওয়ার কারণে এবার কিছুটা হলেও বেগ পেতে হচ্ছে শীতকালীন কপি চাষে।

গরমেও শীতের ফসল। নিজস্ব চিত্র


বংশীহারী ব্লকের মালম এলাকার বাসিন্দা রাধেশ্যাম রায় বলেন “একটা সময় ভিন রাজ্য থেকে অসময়ে শীতকালীন ফসল আসতো আমাদের জেলার বাজারে। বর্তমানে এলাকায় গ্রীষ্মকালে শীতকালীন ফসল চাষ শুরু হয়েছে আমরা অত্যন্ত খুশি।”
স্থানীয় চাষীরা অনেকেই মনে করছেন শীতকালে কপির ব্যাপক ফলন হওয়ার ফলে সেভাবে দাম মেলে না। অসময়ে শীতকালীন কপি চাষ কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হলেও উপযুক্ত পরিচর্যার মাধ্যমে অনেক বেশি লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জ্যৈষ্ঠ মাসে অন্যান্য বছর কিছুটা বৃষ্টি হলেও এই বছর বৃষ্টি নেই বললেই চলে। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় এবার কপি চাষে কিঞ্চিৎ বাধা সৃষ্টি হচ্ছে বলে মত অনেকের।
এবছর উৎপন্ন কপির ওজন ৫০০-৬০০ গ্রাম অবধি। বিগত বছর উৎপন্ন কপির ওজন ছিল ১কেজি থেকে ১২০০ গ্রাম পর্যন্ত। বর্তমানে কৃষক বাজারে ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ফুলকপি এবং বাঁধাকপি।