এনএফবি, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
আরও একধাপ এগোল প্রস্তাবিত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থেকে মেঘালয় পর্যন্ত তুরা করিডর প্রকল্পটির কাজ। সোমবার কাটিহার ডিভিশনের পক্ষ থেকে এই নিয়ে রেলমন্ত্রক ও রেলবোর্ডের কাছে ৭ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করে পাঠানো হয়েছে বলে জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি ফর করিডর কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে । এই প্রকল্পর মধ্যে থাকা তিনটি কাজে এই টাকাকে ভাগ করা হয়েছে।
এই কমিটির আহ্বায়ক নবকুমার দাস জানান, এই করিডর বাংলার দিগন্ত খুলে দেবে শুধু নয়, দেশের সুরক্ষার প্রশ্নে এই করিডর একটা বিকল্প পথের সন্ধান দেবে। পাশাপাশি মেঘালয় সহ সমগ্র উত্তরপূর্ব ভারতের সঙ্গে পূর্ব ভারতের মধ্যে যোগাযোগে এই করিডর হয়ে উঠবে সহজ ও দ্রুত যোগাযোগের পথ। এনিয়ে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মন্ত্রী, দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে রাষ্ট্রপতি সহ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে করিডর কমিটি। ২০১২ সাল থেকে দীর্ঘ কয়েকবছরের দাবি আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে একটি করে ধাপ এগিয়েছি আমরা। অবশেষে কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম আমাদের তলব করেন। সোমবার ডিআরএম আমাদের কাছে এই করিডর নিয়ে একটি প্রজেক্ট রিপোর্ট চেয়েছিলেন। আমরা সেখানেই এনিয়ে একটি প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করি। সেটি তিনি রেল মন্ত্রক এবং রেল বোর্ডে পাঠিয়েছেন। করিডর কমিটির আহবায়ক নব বাবুর কথায়, কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে সহমত হয়েছে। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী র সঙ্গে এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। যার ফলশ্রতিতে রেলবোর্ড যথেষ্ট সচেষ্ট হয়েছে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে।
এই প্রকল্পের জন্য টাকার অভাব হবেনা বলে রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ দিনাজপুর সহ রাজ্যের বেশ কিছু জেলা থেকে সড়কপথে মেঘালয়ের তুরা পৌঁছতে সময় লাগে দু’দিন৷ অথচ হিলি থেকে বাংলাদেশের গাইবান্ধা হয়ে এই করিডর চালু হলে তুরা পৌঁছতে সময় লাগবে মাত্র দু’ঘণ্টা৷ করিডরের দাবি নিয়ে এই জেলায় আন্দোলন শুরু হয়েছে ২০১২ সালে। জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি ফর করিডরের আহ্বায়ক নবকুমার দাসের নেতৃত্বে সেসময় থেকে এখনও কেন্দ্র সরকার ও তার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি দাবি জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ এবং মেঘালয় সরকারের কাছে করিডরের দাবিতে বহুবার আলোচনা করা হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থেকে বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে করিডর চালু হলে যোগাযোগ তো বটেই, দুই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে কৃষি, খনিজ ও অনান্য সামগ্রী আদান প্রদান সহজ হয়ে অর্থনীতির উন্নতি ঘটবে। সেইসঙ্গে সংস্কৃতি ও পরিবেশের মেলবন্ধন ঘটবে।