অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
বিশ্বকাপে অভিযান শুরু করার আগেই সমস্যায় পড়ে যায় বেশ কিছু ইউরোপীয় দেশ। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেন, নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক ভার্জিল ভ্যান ডাইক সমকামী প্রেমের সমর্থনে একটি আর্মব্যান্ড পরার কথা জানান। এরপরই তাদের হলুদ কার্ড দেখানো হবে বলে সাবধানবাণী দেয় ফিফা। তাই বাধ্য হয়ে ‘ওয়ান লাভ’ আর্মব্যান্ড না পরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
কাতারের নিয়মানুযায়ী, সমকামী প্রেম নিষিদ্ধ। কিন্তু তা সত্ত্বেও সোমবার সমকামীপ্রেমের সমর্থনে একটি আর্মব্যান্ড পরে নামার কথা ছিল ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস অধিনায়কের। আর সেটা করলেই মাঠে নামার আগে তাদের হলুদ কার্ড দেখানোর হুঁশিয়ারি দেয় বিশ্বফুটবলের নিয়ামক সংস্থাটি। বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই বেশ কয়েকটি এলজিবিটিকিউ সংস্থা সমকামীপ্রেমের সমর্থন করছে। এই সংস্থাগুলির কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত বেশ কিছু ইউরোপীয় দেশ। ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, জার্মানি, সুইডেন, নরওয়ে, সুইৎজারল্যান্ড এবং ওয়েলসের মতো দেশগুলি এর সমর্থন করছে।
ফিফার এক কর্তা বলেন, “সমকামীপ্রেমের সমর্থনে আর্মব্যান্ড পরলে হলুদ কার্ড দেখানো হবে। আর্থিক জরিমানাও করা হতে পারে খেলোয়াড়দের।”
নেদারল্যান্ডসের একটি সংস্থা সমকামীপ্রেমের সমর্থনে লড়ছে। বিশ্বকাপ চলাকালীন ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, জার্মানি, সুইডেন, নরওয়ে, সুইৎজারল্যান্ড এবং ওয়েলসের মতো দেশগুলির বেশ কিছু খেলোয়াড়দের একটি বিশেষ আর্মব্যান্ড পরার কথা। আর্মব্যান্ডটি রামধনু রঙের, যার মধ্যে একটি হৃদয়ের চিহ্ন অঙ্কিত রয়েছে। যেটি পরলেই সমস্যায় পড়তে পারেন খেলোয়াড়রা।