জুলাই 5, 2024
Latest:
জেলা

শুভেন্দুর দলত্যাগের বর্ষপূর্তিতে ‘উচ্ছ্বাস দিবস’ উদযাপনের পরিকল্পনা যুব তৃণমূলের

এনএফবি, কাঁথিঃ

শুভেন্দুর জার্সি বদলের বর্ষপূর্তি ‘উচ্ছ্বাস দিবস’ হিসাবে উদযাপনের আয়োজন করছে যুব তৃণমূল কংগ্রেস। জানা গেছে যে, অধিকারী বাসভবন শান্তিকুঞ্জ থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে কাঁথির প্রভাত কুমার কলেজ মাঠে উদযাপিত হবে এই অনুষ্ঠান।

উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিগত বছরের এই সময়ে বাংলার রাজনীতি ডিসেম্বরের শীতকে পরাস্ত করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দলের সাথে দূরত্ব বাড়িয়ে অনুগামী মঞ্চ বানিয়ে সবশেষে জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুর কলেজ মাঠে অমিত শাহের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে বিজেপিতে যোগ দেন তৎকালীন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী, যা বাংলার ভোট রাজনীতির ইতিহাসে দলবদলের এক কালো অধ্যায় হিসাবেই চিহ্নিত হবে।

২০১১ সালে বাংলায় রাজনৈতিক পরিবর্তনের সময় থেকে তৃণমূলের সাংগঠনিক পদে প্রথম সারিতে এবং রাজ্য প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ন দায়িত্বে থেকেও নির্বাচনী ময়দানে বিজেপির কঠিন চ্যালেঞ্জের সময়ে শুভেন্দুর এই বদল মেনে নিতে পারেনি তৃণমূলের সাধারণ কর্মী থেকে রাজ্য নেতারা পর্যন্ত। সেই সময়ে বিভিন্ন নির্বাচনী জনসভায় সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

এরপর বাংলায় একুশের নির্বাচন। নন্দীগ্রাম বিধানসভায় শুভেন্দুর কাছে পরাজিত হলেও রাজ্যের বিপুল জনাদেশ নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে দেশের বিজেপি বিরোধী নেত্রী হিসাবে তিনি প্রতিষ্ঠিত। অপরদিকে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। বর্তমানে বাংলার রাজনৈতিক ময়দানেও ক্রমশ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে বিজেপি।

এবার শুভেন্দুর দল বদলের সেই ১৯ ডিসেম্বরের বর্ষপূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে তা পালন করতে চাইছে যুব তৃণমূল। দলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার জবাব দিতেই এই আয়োজন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভা নির্বাচন থাকায় পরের দিন ২০ ডিসেম্বর ‘উচ্ছ্বাস দিবস’ উদযাপন হওয়ার কথা।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ, রাজ্যের মৎসমন্ত্রী অখিল গিরি-সহ একাধিক জেলা স্তরের নেতারা। এই দিবস পালন প্রসঙ্গে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, “ ২০১৪ সাল থেকে শুভেন্দুবাবু বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন, তা তিনি নিজের মুখে স্বীকার করেছেন। দলের সাংগঠনিক পদ নিয়ে, প্রশাসনিক ক্ষমতা ভোগ করে যেভাবে তিনি দলকে পিঠে ছুরি মেরেছেন, তাতে তিনি তৃণমূল পরিবারের কাছে একজন বিশ্বাসঘাতক বলে প্রমাণিত হয়েছেন। তাই এমন একজন ব্যক্তির দল ছাড়ার দিনটির বর্ষপূর্তিতে যুবকর্মীরা ডিজে বাজিয়ে নাচবেন।“