এনএফবি, কলকাতাঃ
পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির সভাপতি ব্রাত্য বসু। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সচিব শান্তনু বসুর তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তি থেকে এ খবর জানা যায়। সদ্য প্রয়াত শাঁওলি মিত্রের পদে স্থালাভিষিক্ত হলে ব্রাত্য। সম্প্রতি তিনি সাহিত্য আকাদেমির পুরস্কার পেয়েছেন। একাধারে নাট্যকার এবং চলচ্চিত্র ও মঞ্চের বিশিষ্ট অভিনেতা রাজ্যের শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
আরও পড়ুনঃসাহিত্য একাডেমি পুরস্কার পেলেন ব্রাত্য বসু
সভাপতি-সহ পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির সাধারণ পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা ১৩। সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন, জয় গোস্বামী, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, সুবোধ সরকার, প্রচেত গুপ্ত, অভীক মজুমদার, প্রসূন ভৌমিক, শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়, আবুল বাশার, সুধাংশু দে, ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা ঘোষ।
সরকারি প্রতিনিধি হিসাবে এই কমিটিতে থাকবেন উচ্চশিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব প্রচেত গুপ্ত, অর্থ দফতরের প্রধান সচিব অর্পিতা ঘোষ, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের প্রধান সচিব অভীক মজুমদার ও পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির সচিব প্রসূন ভৌমিক। রয়েছেন বুক সেলার্স অ্যান্ড গিল্ডের দুই কর্তা সুধাংশু দে, ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ মাদক পাচারের অভিযোগে নিউটাউন থেকে গ্রেফতার ছাত্রী-সহ ৪ পড়ুয়া
উল্লেখ্য, সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর মৃত্যুর পর পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন শাঁওলি মিত্র। ২০১৮ সালের শুরুতে এই পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার মাস কয়েকের মধ্যে তিনি ফিরে আসেন এবং আমৃত্যু এই দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশ ও প্রসারের লক্ষ্যে ফ্রান্সের অ্যাকাডেমি ফ্রঁসেজ-এর আদলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের অধীনে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৪ সালে এটি স্বশাসিত সংস্থার মর্যাদা পায়।