ছেত্রীর অধরা স্বপ্ন সফল, ডুরান্ড কাপ বেঙ্গালুরুর

স্পোর্টস ডেস্ক, এনএফবিঃ

সুনীল ছেত্রীর কেরিয়ারে অধরা খেতাব ঘরে ঢুকলো। মুম্বই সিটি এফসিকে ২-১ গোলে হারায় বেঙ্গালুরু এফসি। কেরিয়ারে প্রথমবার ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হলেন সুনীল। প্রথম থেকেই এদিন ম্যাচ ছিল উত্তেজনায় ভরা। ম্যাচের ১০ মিনিটে শিবা শক্তির গোলে বেঙ্গালুরু এগিয়ে যায়। যদিও গোলে এগিয়ে থাকার রেশ বেঙ্গালুরু ধরে রাখতে পারেনি। ১৭ মিনিটে সুযোগ পেয়েছিল মুম্বই। লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে তা কাজে লাগাতে পারেননি। ম্যাচের ৩০ মিনিটে আপুইয়ার গোলে সমতা ফেরায় মুম্বই।স্টুয়ার্টের শট প্রথমে বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন গোলকিপার। ফিরতি বলে ফের জোরাল শট মেরে বলটি জালে জড়িয়ে দেন আপুইয়া। প্রথমার্ধের শেষ দিকে একটি ফ্রি-কিক পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি বেঙ্গালুরু এফসি। ৩৮ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত বেঙ্গালুরু। রোশন সিংহের কর্নার থেকে দুরন্ত শট নিয়েছিলেন রয় কৃষ্ণা।

দ্বিতীয়ার্ধে বেঙ্গালুরু আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলে। ৬১ মিনিটে সুনীল ছেত্রীর পাস থেকে গোল করেন অ্যালান কোস্তা। তারপর থেকেই মুম্বই আক্রমণের ঝাঁঝ একেবারেই কমে যায়। আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বেঙ্গালুরু। সুনীল ছেত্রীর একটি শট বারে লেগে ফিরে আসে।

যদিও আর গোল না পেলেও বেঙ্গালুরু জিতেই মাঠ ছাড়ে। ম্যাচের শেষ দিকে সমতা ফেরানোর মরিয়া লক্ষ্যে বেশ কিছু বদল করেন মুম্বই কোচ। তা কাজে দেয়নি। এদিন ম্যাচে পুরো যুবভারতীর সমর্থন ছিল বেঙ্গালুরুর দিকে তার কারণ প্রবীর দাস, সুনীল ছেত্রী, হীরা মন্ডল, রয় কৃষ্ণরা। ম্যাচ শেষে সেলিব্রেশনে মাতে গোটা বেঙ্গালুরু দল।

এদিন পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস
কলকাতার তিন প্রধান ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান মহামেডান না থাকা সত্ত্বেও যেভাবে যুবভারতীতে ফুটবল উন্মাদনা দেখা গেল সেটা সত্যিই তারিফযোগ্য।
প্রায় ৩০ হাজার দর্শক এসেছিল রবিবারের যুবভারতীতে।
নিজের ঘরোয়া ফুটবলে আই লিগ, আইএসএল, ফেডারেশন কাপ, সুপার কাপ জিতেছে বেঙ্গালুরু। এএফসি কাপেও রানার্স-আপ হয়েছে তারা। আর এবার ডুরান্ড কাপও ঢুকে গেল বেঙ্গালুরু দলের।

ম্যাচের পরে বেঙ্গালুরু অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী জানালেন, সত্যি বলতে খুব ভালো লাগছে কেরিয়ারে সবকিছু ছিল কিন্তু ডুরান্ড কাপের মতো প্রাচীন টুর্নামেন্ট ছিল না এই টুর্নামেন্ট জিততে পেরে ভালো লাগছে।