জেলা

প্রতিনিয়ত বাঁচার লড়াই, সার্কাস বাঁচতে সরকারের মুখাপেক্ষী

এনএফবি, আলিপুরদুয়ারঃ

প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের দৌলতে আজ সবই হাতের মুঠোয়। নিমেষে নানান অজানা তথ্য খুব সহজেই মানুষ পেয়ে যাচ্ছে এখন। আর প্রযুক্তির এই সহজলভ্যতা ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে ‘সার্কাস’-এর মতো প্রাচীন শিল্প৷ দিনদিন এর কদর কমতে থাকায় চিন্তা বেড়েছে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত কয়েকশো শিল্পীর ৷ পেটের তাগিদে প্রতিনিয়ত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। এই ভেবে যে, একদিন আবার সার্কাসের সুদিন ফিরবে।
মানুষ প্রাধান্য দেবে শিল্পীর মাহাত্ম্যকে।

প্রাচীন এই খেলাকে বাঁচাতে রাজ্য সরকারের এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ ও সার্কাস কোম্পানিগুলি। গ্রাম বাংলায় একসময় সার্কাস বলতে মানুষ অন্তপ্রাণ ছিল৷ জীবজন্তু থেকে জিমন্যাস্টিক, স্ট‍ান্টবাজির রকমারি খেলা দেখতে লোকজন ভিড় করতেন সার্কাসের শো গুলিতে। মজাও পেতেন দর্শকরা। এখন অবশ্য সার্কাসে জীবজন্তু পুরোপুরি নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। রয়েছে শুধু স্ট‍ান্টবাজি, জিমন্যাস্টিক এবং জোকারের বিভিন্ন মজাদার খেলা। ইতিমধ্যে, শিবরাত্রি উপলক্ষে সার্কাসের আসর বসেছে ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বরে। সেখানকার গরুহাটি ময়দানে তাবু খাটিয়ে চলছে সার্কাসের এই আসর৷ প্রায় পনেরো দিন ধরে সেখানেই দর্শকদের মনোরঞ্জনে ব‍্যস্ত থাকবেন শিল্পীরা।

এবিষয়ে পপুলার সার্কাস কোম্পানির ম‍্যানেজার তপন রায় বলেন, “সার্কাসের শো থেকে যেটুকু আয় হয়, তা দিয়েই কোনও মতে সংসার চলে। এই পেশার সঙ্গে বহু বছর জড়িত৷ প্রতিনয়ত লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হচ্ছে। সরকার যদি একটু আমাদের কথা চিন্তা করত, তাহলে উপকার হত সকলের৷”