জেলালেটেস্ট

নবগ্রামে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি খুনে ধৃত ৭

এনএফবি মুর্শিদাবাদ

মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানা এলাকায় হজবিবি ডাঙ্গা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মোজাম্মেল শেখ খুনের ঘটনায় সাত ব্যক্তিকে আটক করলো নবগ্রাম থানার পুলিশ। ধৃত ব্যক্তিরা সকলেই এলাকাতে কংগ্রেস কর্মী হিসেবে পরিচিত।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য -বৃহস্পতিবার রাতে নবগ্রাম থানার হজবিবি ডাঙ্গা গ্রামে ভোট প্রচারে গিয়ে খুন হন তৃণমূল কংগ্রেসের হজবিবি ডাঙ্গা অঞ্চল সভাপতি মোজাম্মেল শেখ (৪২)। এর পাশাপাশি কংগ্রেস কর্মীদের আক্রমণে আহত হন বেশ কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। এই ঘটনাই গুরুতর আহত হন তৃনমূল প্রার্থীর বাবা। আহতের নাম মেহেরুল শেখ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চায়ের দোকানে বসে ছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তার উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর আহত হন ওই ব্যক্তি। তাঁকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়।

থম্থমে এলাকা

ঘটনার পরেই নবগ্রাম থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে তল্লাশি শুরু করে। ঘটনার পরে কার্যত পুরুষ শূন্য হজবিবি ডাঙ্গা গ্রাম।

স্থানীয় সুত্র থেকে জানা গিয়েছে মনোনয়ন পত্র জমা দেবার পরে হজবিবি ডাঙ্গা গ্রামে দেওয়াল লিখনের কাজ করছিলেন তৃণমূলের কর্মীরা। সেই সময় স্থানীয় লোকজন বাঁধা দেয় দেওয়াল লিখতে, তাদের আপত্তি ছিল সবার নাম লেখা যাবে কিন্তু ব্লক তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ এনায়েতুল্লার নাম দেওয়ালে লেখা যাবে না। এতেই খিপ্ত হয়ে তৃনমূল কর্মীরা গুলি চালান বলে অভিযোগ। এর পরেই প্রতিরোধ করেন স্থানীয়রা সেই প্রতিরোধে মৃত্যু হয় মোজাম্মেল শেখের (৪২)।

এই ঘটনায় কংগ্রেসের দিকে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস। তিনি বলেন, “গোষ্ঠী কোন্দলেই এই মৃত্যু হয়েছে। কংগ্রেস কর্মীরা এর সঙ্গে যুক্ত নন”। তিনি আরও বলেন, “ মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে তৃণমূলের কিরকম ভয়ঙ্কর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে, সেটা জেলাবাসী জানেন। তাই এটা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। নবগ্রাম এলাকাতেও ওদের প্রচুর গোষ্ঠী বর্তমান।তাই আমাদের মনে হয় অন্য গোষ্ঠীর লোকেরাই এই হামলা চালিয়ে তাঁকে হত্যা করেছে। কারণ জেলায় তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা কেউ মানতে পারছেন না”।