অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
২০০৬ সালে এই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেই টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে অভিষেক হয়েছিল দীনেশ কার্তিকের। দীর্ঘ ১৬ বছর পর সেই প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রথম টি টোয়েন্টি অর্ধশতরান করলেন দীনেশ কার্তিক। সেইসঙ্গেই ফের একবার ভারতীয় দলের জার্সিতে নিজের ফিনিশার হওয়ার দক্ষতাও বুঝিয়ে দিলেন দীনেশ কার্তিক। ২৫ বলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৫০ করলেন তিনি। সেইসঙ্গে শেষ মুহূর্তে নেমে ভারতের রানও লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দিলেন ডিকে।
আগামী অক্টোবর মাসেই এবারের বিশ্বকাপ। হাতে আর ছয় মাসও নেই। সেই দলেই নিজের জায়গা পাকা করার কাজটা কিন্তু দীনেশ কার্তিক শুরু করে দিয়েছেন। আইপিএলের মঞ্চে দুর্ধর্ষ পারফরন্যান্স দেখিয়েছিলেন তিনি। এরপরই তিন বছর পর ফের ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন দীনেশ কার্তিক। ধোনির অনুপস্থিতিতে ভারতীয় দলের ফিনিশারের ভূমিকা পালন করাই প্রধান লক্ষ্য তাঁর। সেই কথা আইপিএল শুরু হওয়ার আগেই জানিয়েছিলেন দীনেশ কার্তিক। তাঁর ব্যাট থেকে শুরু হয়েছিল এদিন রানের ঝড়। চার ও ছয়ের দাপটে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের একসময় রীতিমত নাস্তানাবুদ করে তুলেছিলেন তিনি। আইপিএলের ঝলকই এদিন ফের ছিল দীনেশ কার্তিকের ব্যাটে। ২৭ বলে ৫৫ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংসে খেলে ভারতকে লড়াই করার জায়গায় পৌঁছে দেন তিনিই। তাঁর গোটা ইনিংসটি জুড়ে রয়েছে ৯টি চার এবং ২টো ওভার বাউন্ডারি।
এবারের আইপিএলেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন তিনি। আইপিএলে তাঁর রান ছিল ৩০০-এরও ওপরে। এদিনও ভারতকে কঠিন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড় করানোর নায়ক সেই দীনেশ কার্তিকই।