এনএফবি,জলপাইগুড়িঃ
উত্তরবঙ্গে শকুন সংরক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে আলিপুরদুয়ারের রাজাভাতখাওয়াতে । তেমনি জলপাইগুড়িতে ভারত এবং বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া ফুলবাড়ী জটিয়াকালি গ্ৰামে এক চাষির জমিতে রোজ শকুনের আগমন ঘটে ।
জানা গেছে ,শকুন সংরক্ষণের জন্য তিনি শিলিগুড়ি পুরসভার কাছে আবেদন করেন মৃত গৃহপালিত পশুর দেহ বিশেষ করে গরুর দেহ তার জমিতে ফেলবার জন্য। শকুন খেতে পাবে । আব্দুল বাবু বলেন, শকুন এখন সহজে দেখতে পাওয়া যায় না তাই আমি আমার এক বিঘা জমি ফেলে রেখেছি শকুনদের জন্য । পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করবার জন্য শকুনের দরকার রয়েছে । তারা পরিবেশের মৃত প্রাণী খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে পরিবেশকে জীবাণুমুক্ত করে তুলছে। তিনি জানান,জমিতে খাদ্য সংরক্ষিত থাকায় এখানে প্রায় দুইশো থেকে আড়াইশো শকুনকে আসতে দেখা যায়। এই শকুনগুলো হিমালয়ান প্রজাতির শকুন।
আর ও জানা গেছে, অনেকে শকুন দেখতে আসে এখানে। কোনো কারণবশত কোন শকুন অসুস্থ হয়ে পড়লে তখন তিনি খবর দেন শকুন সংরক্ষণ কেন্দ্র গুলিতে, সেখানে চিকিৎসার মাধ্যমে শকুনদের সুস্থ করে পুনরায় জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।