উৎসব আয়োজন

মাঘী পূর্ণিমায় রথযাত্রা ঘিরে উদ্দীপনা

এনএফবি,পূর্ব মেদিনীপুরঃ

কথিত আছে দীর্ঘ সময় পূর্বে নস্কর দিঘী গ্রামের কোনো এক ব্রাহ্মণ পরিবারের এক সদস্য উপনয়ন হওয়ার সময় গৃহত্যাগ করে সন্ন্যাস নিয়ে বৃন্দাবন চলে গিয়েছিলেন ৷ বহু বছর পরে তিনি ফিরে এসে ছিলেন রঘুনাথজীউর শালগ্রাম শীলা গলায় ঝুলিয়ে নস্করদিঘী গ্রামের ওই স্থানে। সেই সময় রঘুনাথজীউ মন্দিরের প্রতিষ্ঠা হয়। তবে দীর্ঘ উচ্চতার মন্দির সম্পর্কে অনেক তথ্যই আজও অজানা । জমিদার আমল থেকে রঘুনাথজীউ মন্দির নির্মাণের সময় টেরাকোটার কিছু কাজ হয়েছিল ওই মন্দিরে, যা আজ ক্ষয়প্রাপ্ত। তবে এই মন্দিরে ১৩টি চূড়া তৈরি হলেও এক সময় সংস্কারের পর ৯ টি চূড়া তৈরি হলে তা নবরত্ন মন্দির নামে প্রতিষ্ঠা পায় । যা গ্রামের কাছে রঘুনাথ মন্দির হিসেবে পরিচিত। তবে এই মন্দিরের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাকাল সম্পর্কে সংশয় থেকেই যাচ্ছে সকলের মনে।

আরও পড়ুনঃ রাজভবনে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি ধনখড়ের

প্রাচীন ইতিহাস পড়ে জানা যায় নস্করদিঘী গ্রামে কোনো ব্রাহ্মণের বসতি বা এই মন্দির ছিল না। এক সময় বারুই সম্প্রদায় এখানে বসবাস করত। তবে রঘুনাথ মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা কে তা আজও অজানা।
রঘুনাথ মন্দিরের পুরোহিত শিবরাম পন্ডা বলেন, ঐতিহ্যবাহী জমিদার আমলের রঘুনাথজীউর রথ মাঘী পূর্ণিমায় টানা হয় ৷ রঘুনাথের নিজস্ব জমি জায়গা রয়েছে, সেখানেই রথ সাতদিন থেকে আবার মন্দিরে ফেরত আসে। স্থানীয় প্রাক্তন শিক্ষক মানস কুমার পতি বলেন মাঘী পূর্ণিমায় রথ টানা হয়। তাঁর টানেই নস্কর দিঘী গ্রামের মানুষ জন উপস্থিত হয় মন্দির প্রাঙ্গণে । সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রিত হয় এই মন্দির প্রাঙ্গণে ৷ জমিদার আমল থেকে রঘুনাথজীউ মন্দির প্রতিস্থাপিত হয়। প্রতিদিন অন্নভোগ হয় রঘুনাথের জন্য মন্দিরের শালগ্রাম শীলাই মন্দিরের আসল দেবতা বলে জানা গেছে।