অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
অঘোষিত মিথ ভারতীয় ক্রিকেটে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারের পরেই বোধহয় সব থেকে চাপের যে পোস্ট সেটা হল ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক! সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় থেকে মহেন্দ্র সিং ধোনি সকলের ভারতের ক্যাপ্টেন হওয়ার পরেই চুল সাদা হয়েছিল আর দাড়ি পাকা হয়েছিল। বিরাটের খানিকটা হয়েছে ক্যাপ্টেন্সি পাওয়ার পরে (কাকতালীয় ভাবে)। কিন্তু কাঁটার মুকুটটা বোধহয় একই ছিল। ২০১৪ সালে সবাইকে অবাক করে অস্ট্রেলিয়ায় যখন মহেন্দ্র সিং ধোনি অবসর নিলেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে তখন কোহলি টেস্ট ক্যাপ্টেন হলেন। এর দুই বছর পরে পাকাপাকি ভাবে তিন ফরম্যাটের অধিনায়কের মুকুট পড়লেন। তার ওপরে আইপিএলে অধিনায়ক হওয়ার চাপ। যতদিন গেছে কোহলিয়ানা চেস মাস্টার এই শব্দ গুলো কেমন ফিকে হতে শুরু করেছিল। যাকে ভাবা হত সচিনের একশো শতরানের রেকর্ড ভাঙার একমাত্র দাবিদার, তার ব্যাট থেকে গত আড়াই বছরে শতরানের দেখা নেই। তবে গত কয়েক মাসে গঙ্গা থেকে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। যার প্রভাব দেখা যায় বিরাটের ব্যাটিংয়ে গত একবছরে বেশিরভাগ আউট হন অফ স্ট্যাম্প বাইরের বল খোঁচা মেরে। মানসিক ও টেকনিক দুটো চাপ একসঙ্গে দেখা দেয় ।
ফলস্বরূপ ভারতীয় বোর্ড সূত্র থেকে জানা যায় টি২০ ক্যাপ্টেন্সি চাপ কমাতে কোহলি নিজে ছাড়েন। ওয়ান ডে কোহলি কে বোর্ড সরায়। আর ভারতীয় বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে গত কয়েক দিনের কথার লড়াই ও বিতর্কের পরে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ হারের পরে নিজে সরে যান ক্যাপ্টেন্সি থেকে। চাপ শেষ! কিন্তু বিরাট কে কি পাওয়া যাবে সাত বছর আগের মেজাজে! নিজে প্রথম ৭ বছর আগে প্লেয়ার বিরাট যেমন ছিলেন আগ্রাসী। দলকে বলে বলে জেতাতেন। ব্যাট ধরলেই রানের ফুলঝুরি ঝরাতেন।কোহলি সাত বছর পরে অধিনায়ক ছাড়া প্রথমবার খেলবেন পার্লতে প্রথম ওয়ান ডে তে লোকেশ রাহুলের নেতৃত্বে। তবুও ক্যামেরার যাবতীয় লেন্স থাকবে বিরাটের দিকেই।
ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকরা আশায় থাকবে বিরাটের ব্যাট থেকে কাঙ্খিত সেঞ্চুরির। অধিনায়ক থাকুন বা নাই আগ্রাসী বিরাট তো থাকবেনই মাঠে। কারণ কিং কোহলির মেজাজটাই আসল রাজা।