এনএফবি,কোচবিহারঃ
এবার শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর গ্রেপ্তার চেয়ে আন্দোলনে নামল বিজেপি। আজ কোচবিহার শহরে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিল করে বিজেপি। সেই মিছিলের নেতৃত্ব দেন বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক সুকুমার রায়, বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে সহ বেশ কয়েকজন নেতৃত্ব। এদিন এই মিছিলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিকেরও উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু মিছিলে সেভাবে জন সমাগম না হওয়ায় তিনি শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থাকেননি বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারনা।
এদিনের মিছিলে অভিনবত্ত্ব দেখা গিয়েছে। একদিকে যেমন টোটোর উপরে প্রতীকী লোহার গারদ বানিয়ে ভিতরে গ্রেপ্তার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কুশপুতুল রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে ওই কুশপুতুল দাহ পর্যন্ত করা হয়েছে। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাজে একজনকে হুইল চেয়ারে করে ঘোরানো হয়েছে। মিছিল থেকে বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, “প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী গ্রেপ্তার হয়েছে। কিন্তু বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এখনও বাইরে রয়েছেন। তাঁকেও গ্রেপ্তার করার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়াও দুর্নীতির সাথে যুক্ত কোচবিহারের সমস্ত নেতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই আমরা। এই দাবিতে বিজেপি কোচবিহারে এখন যেমন বিধানসভা কেন্দ্রীক প্রতিবাদ মিছিল করছে। আগামীদিনে জেলা জুড়ে এই মিছিল করা হবে। প্রয়োজনে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার চেয়ে জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারের দফতরও ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হবে।”
কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক পরেশ অধিকারী বর্তমানে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। সম্প্রতি হাই কোর্টের নির্দেশে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে পাওয়া তাঁর মেয়ের চাকরি যায়। শুধু তাই নয়, চাকরি থেকে পাওয়া বেতনও কিস্তি হিসেবে ফেরত দিতে হয়। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখার্জীর বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের জন্য দুজনকেই গ্রেপ্তার করে ইডি। বিজেপির দাবি, যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের চাকরি হয়েছিল, আদালতের রায়ে তা প্রমাণিত। মেয়ের ওই চাকরির জন্য পরেশ অধিকারী যে প্রভাব খাটিয়ে ছিলেন, তা স্পষ্ট। তাই তাঁকেও গ্রেপ্তার করা উচিত বলে বিজেপি নেতৃত্ব মনে করে।