এনএফবি, কলকাতা: এই বছরের শারোদ সৃজনী শিরোমণি সম্মান লাভ করেছে হাতিবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। বিশেষ জুরি সম্মানে সম্মানিত হয়েছে প্রতাপাদিত্য রোড ত্রিকোণ পার্ক দুর্গোৎসব কমিটি। শারোদ সৃজনী রেখা (আর্ট) সম্মান পেয়েছে আহিরীটলা যুবকবৃন্দ। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগে যে সমস্ত পুজো কমিটি পুরস্কার অর্জন করেছে, তারা হল: শারোদ সৃজনী বার্তা (মেসেজ) সম্মান নলীন সরকার স্ট্রিট সার্বজনীন দুর্গোৎসব, শারোদ সৃজনী ভাবনা (কনসেপ্ট) সম্মান শ্যামাপল্লী শ্যামা সংঘ, শারোদ সৃজনী চিত্রলেখন (ক্যালিগ্রাফি) সম্মান বেহালা ক্লাব সার্বজনীন দুর্গোৎসব, এবং শারোদ সৃজনী সমাজ বন্ধু (সোশ্যাল মেসেজ) সম্মান আদর্শপল্লী সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি।
এই বছর বিভিন্ন বিভাগে এই পুরস্কারের জন্য সারা বাংলা এবং বাংলার বাইরে থেকে মোট ৩৫০টি পুজো কমিটি নাম নথিভুক্ত করেছিল। সেই তালিকা থেকে প্রথমে ৮৫টি পুজো কমিটিকে নির্বাচিত করা হয়। পরে, ২৫টি পুজো কমিটির মধ্যে থেকে ৭টি পুজো কমিটিকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়।
এই সম্মানের জন্য দশজনের একটি প্যানেল বিচারক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন: সুদীপ্ত কুন্ডু, ভাস্কর রক্ষিত, কৌশিক শীল, সৌগত মুখার্জি, শুভেন্দু রায়, সুবর্ণা দত্ত মুখার্জি, সোনালী মন্ডল সামন্ত, মধুচন্দা সেন, সুমিতা কর্মকার, এবং অরিন্দম বসু।
উল্লেখ্য, অমিতাভ সামন্ত প্রতিষ্ঠিত কৃষ্ণ চরিতা ইকো হোমস সংস্থার উদ্যোগে ২০১২ সালে এই শারোদ সম্মান প্রদানের সূচনা হয়। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই সম্মান প্রদানের মাধ্যমে পুজো পরিক্রমাকারীদের আকর্ষণ করে যোগ্য পুজো আয়োজকদের সম্মানিত করা হচ্ছে। পুরস্কার প্রসঙ্গে অমিতাভ সামন্ত বলেন, “আমরাই একমাত্র সংস্থা যারা আয়োজকদের খরচ নয়, বরং উৎসবকে কীভাবে আনন্দময় করা হচ্ছে তার চিন্তাভাবনা দেখে বিচার করি।”