লঙ্কাবধ হলো না এশিয়া কাপ থেকে কার্যত ছুটি ভারতের

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

শ্রীলঙ্কার কাছে ৬ উইকেটে হারল ভারত। ম্যাচ গড়াল শেষ ওভার পর্যন্ত, কিন্তু শেষরক্ষা হল না। এশিয়া কাপ থেকে কার্যত ছিটকে গেল ভারত। অঙ্কের হিসাবেই শুধুমাত্র এখন ভারতের ফাইনালের আশা রয়েছে। ব্যাটারদের চূড়ান্ত ব্যর্থতা এবং পেসারদের একের পর এক ভুলের খেসারত হার দিয়েই দিতে হল টিম ইন্ডিয়াকে। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ এখন ভারতের কাছে শুধুই নিয়ম রক্ষার।

সুপার ফোরে পাকিস্তানের কাছে পাঁচ উইকেটে হার। ভারতের সামনে অবশ্য এশিয়া কাপের ফাইনালে যাওয়ার রাস্তা খোলা ছিল। শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জিততেই হত টিম ইন্ডিয়াকে। মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মর বাঁচন ম্যাচে নেমেছিল টিম ইন্ডিয়া। এদিনই প্রথমবার এশিয়া কাপের মঞ্চে জ্বলে উঠলেন রোহিত শর্মা। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৭২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। যদিও বাকি ব্যাটাররা রান পাননি। তবুও শেষের দিকে অশ্বিনের ইনিংসটা ভারতকে লড়াই করার জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিল।টস জিতে এদিন ভারতকে প্রথমে ব্যাটিং করার সুযোগ দিয়েছিলেন দাসুন শনাকা। এশিয়া কাপে এখনও পর্যন্ত প্রথমে ব্যাটিং করে কেউই জিততে পারেনি। এদিন ভারতীয় দল সেই ধারাটাই বোধহয় বদলাতে চেয়েছিল। কিন্তু শুরু থেকেই এদিন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল ভারতীয় দলের ব্যাটিং লাইন আপ। রোহিত শর্মার ব্যাট থেকে ৭২ রানের ইনিংস না এলে যে কী হত , তা বোধহয় ভাবাও যাচ্ছে না। লোকেশ রাহুল ফেরেন ৬ রানে। বিরাট কোহলি আউট হন ০ রানে। শুরু থেকেই চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল। অধিনায়ক রোহিত ক্রিজে ছিলেন। এদিনই ক্যাপ্টেনস নকটা খেললেন তিনি। দীর্ঘদিন পর ফের রোহিত শর্মার ব্যাট থেকে দেখা গেল একের পর এক বড় শট। ৪১ বলে ৭২ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলেন তিনি। তাঁর ব্যাটে ভর করেই একসময় ভারতীয় দল বড় রানের স্বপ্নও দেখা শুরু করেছিল। কিন্তু রোহিত শর্মা ফিরতেই যেন সেই পুরনো চেহারা ভারতীয় দলের। সূর্যকুমার, হার্দিক পান্ডিয়া থেকে ঋষভ পন্থ সকলেই ছিলেন ক্রিজে কিছুক্ষণের অতিথি। শেষের দিকে রবি চন্দ্রন অশ্বিন ৭ বলে ১৫ রানের ইনিংস খেলতে পেরেছিলেন বলেই ভারতের রান পৌঁছয় ১৭৩-এ।

ব্যাটিং ব্যর্থতার দায়ও মেনে নিয়েছেন রোহিত শর্মা। লড়াই করার মত জায়গায় ভারত ছিল। শ্রীলঙ্কাকে হারাতে হলে বোলারদের দুর্ধর্ষ কিছু একটা করতে হত। কিন্তু প্রথম ১১ ওভার গোটা ম্যাচটাই ছিল একপেশে। শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনারই এদিন অর্ধশতরান করেন। ম্যাচটা তখনই প্রায় ভারতের হাতের বাইরে চলে গিয়েছিল। তবে যুজবেন্দ্র চাহাল ও অশ্বিনের লড়াইয়ে ফের একবার আশা জেগেছিল। ১২ থেকে ১৫ ওভারের মধ্যে ভারতের স্পিনাররা চার উইকেট তুলে নেন। চাহাল নেন তিনটি উইকেট এবং অশ্বিনের শিকার ১ উইকেট। মেন্ডিস, নিসাঙ্কা, গুলাথিলকাদের সাজঘরে ফেরার পর ভারতের কিঞ্চিত একটা আশা জেগেছিল। কিন্তু শনাকা এবং রাজাপক্ষেদের দক্ষ ব্যাটিং ভারতের হাত থেকে ম্যাচ বের করে নিয়ে চলে যায়। শেষ ওভারে অর্শদীপ দুরন্ত পারফরম্যান্স করলেও, শ্রীলঙ্কাকে আটকানোর জন্য তা যথেষ্ট ছিল না।