জেলা

ব্যবসায়ীকদের দ্বৈরথে ব্যাহত ভারত – বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য

এনএফবি, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ

ভারত বাংলাদেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক বৈদেশিক বাণিজ্যে উঠলো স্বজনপোষণের অভিযোগ ও অবৈধ তোলাবাজি। এই অভিযোগ তুলে হিলির ব্যবসায়ী সংগঠনে ইস্তফা দিল কার্যকরী কমিটির সদস্যরা। সোমবার দুপুরে সংগঠনের অফিসে সভাপতির হাতে ১১ জন ব্যবসায়ী ইস্তফা পত্র দেয়৷ এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে ব্যবসায়ী মহল থেকে প্রশাসনিক মহলে।

কাজল সরকার, ব্যবসায়ী

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ফেব্রুয়ারি মাসে বালুপাড়া ট্রাক টার্মিনাসের দায়িত্ব গ্রহণ করে পরিবহণ দপ্তর। তারপরেই পরিবহণ দপ্তর ওভারলোডিং, অবৈধ পাথর ডাম্পিং গ্রাউন্ডের রমরমা কারবারে রাশ টানে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে বেনিয়ম বন্ধ করে বাণিজ্যবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সচেষ্ট হয় রাজ্য সরকার। এর জেরে স্থানীয় লরি মালিকদের কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখে ক্ষুদ্ধ লরি মালিকরা বেনিয়মের অভিযোগ তুলে টার্মিনাসের পথ আটকে বিক্ষোভ শামিল হয়। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে বরফ গলে। এদিকে টার্মিনাস পরিবহণ দপ্তরের হাতে যেতেই ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হয়। কার্যত ব্যবসায়ীদের দ্বৈরথে বৈদেশিক বাণিজ্য করতে জটিলতা বাড়ে।

অমিত আগরওয়াল, ব্যবসায়ী

শনিবার দুপুরে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে বেনিয়ম রোধ করার সিন্ধান্ত গ্রহণ করে জেলা প্রশাসন। প্রত্যেকটি মহলকে একত্রে করে সমম্বয় কমিটি গঠন করে পরিবহণ আধিকারিক। ঘটনার দু’দিন বাদেই ব্যবসায়ী সংগঠনে জটিলতা আরও বাড়ল। অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদকের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে সরব হল কার্যকরী কমিটির সদস্যরা। কার্যকরী কমিটির ২১ জনের মধ্যে ১১ জন সদস্যের সাক্ষর সম্বলিত ইস্তফা পত্র সভাপতি আলাউদ্দিন মণ্ডলের হাতে দেওয়া হয়। ঘটনায় কার্যত ব্যবসায়ী সংগঠনের কমিটিতে অচলাবস্থা তৈরি হয়। ইস্তফা পত্র পেশ করার সময়ে হট্টগোল বেঁধে যায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে৷ ইস্তফা প্রক্রিয়াকে অসাংবিধানিক দাবি করে বিপক্ষে যায় গণেশ সাহা, আশুতোষ সাহারা। পাল্টা ইস্তফা পত্রটি গ্রহণ করে তলবি সভা অনুষ্ঠিত করে নির্বাচন প্রক্রিয়া মাধ্যমে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নতুন কমিটি গঠন করার অনুরোধ করেন ইস্তফা পেশকারী ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে ব্যবসায়ী সংগঠনের এই দ্বন্ধ প্রকাশ্যে আসতেই সবমহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

আলাউদ্দিন মণ্ডল, সভাপতি।

ব্যবসায়ী সূত্র বলছে, মাসখানেক থেকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে বেনিয়ম করে তোলাবাজি বন্ধ হতেই ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ব্যবসায়ীরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে গিয়ে একদল ব্যবসায়ী স্বচ্ছভাবে ব্যবসা করতে চাইছে। আরেক দল যোগসাজশের মাধ্যমে অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যেতে চাইছে। আবার কয়েকজন ব্যবসায়ী মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বলে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে। ব্যবসায়ীদের এই দ্বৈরথে ব্যাহত হচ্ছে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য। কার্যত ব্যাপকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন স্থানীয় লরি মালিকেরা।