এনএফবি, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
ইছামতি নদী বাঁচাও কমিটির উদ্যোগে সমস্ত রকম কোভিড বিধি মেনে নামমাত্র মানুষের উপস্থিতিতে ইছামতি নদী সংস্কারের বার্তা হিসেবে প্রতীকী কাজ ‘চল কোদাল চালাই’ কাজ শুরু হল। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ইছামতি নদী বাঁচাও কমিটির কর্ণধার জুলিয়াস হাসান চৌধুরী, কমিটির উপদেষ্টা তথা সবুজ মঞ্চ নদী বাঁচাও কমিটির অন্যতম আহ্বায়ক তুহিন শুভ্র মন্ডল, কুমারগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধক্ষ শিবাজী টুডু, স্থানীয় নদী পাড়ের বাসিন্দা আব্দুল মাতিন মন্ডল,সুকুমার মাহালি, আজমির মন্ডল,পরিবেশ কর্মী নীলাদ্রি শেখর মুখার্জী প্রমুখ।
ইছামতি নদী বাঁচলে কৃষিজীবী ও মৎস্যজীবীরা বাঁচবে। পরিবেশ ভাল থাকবে। সেই কারণেই এই অভিনব কর্মসূচি বলে জানান উদ্যোক্তারা।
ভারত – বাংলাদেশের অভিন্ন নদী ইছামতি। কুমারগঞ্জ ব্লকের জলেশ্বরী দিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরে প্রবেশ করা এই নদী পতিরামে গিয়ে আত্রেয়ী নদীতে মিশেছে। ২১ কিলোমিটার প্রবাহিত এই নদীতে একসময় প্রচুর দেশী মাছ পাওয়া যেত। গভীরতা ছিল অনেক। স্থানীয় নদী পাড়ের বাসিন্দা দিলীপ কিষ্কু জানান, “এই নদী আগে অনেক চওড়া ছিল। আমরা আগে এই নদীর জল নানা ভাবে ব্যবহার করতাম। কিন্তু এখন নদী আর নদী নেই।”
তুহিন শুভ্র মন্ডল
ঠিক এই কারণেই ২০১৮ সালে শুরু হয়েছিল ইছামতি বাঁচাও আন্দোলন। পরিবেশ প্রেমী সংস্থা দিশারী সংকল্পের উদ্যোগে বালুরঘাটে আত্রেয়ী নদীরসদর ঘাটে প্রকাশিত হয়েছিল ‘ইছামতি বাঁচাও আন্দোলন’ – এর লোগো। তারপর এনাতুল্লাপুরের সর্দারহাটে ইছামতি নদীর বুকে দাঁড়িয়ে স্থানীয়রা শপথ নিয়েছিল ইছামতি নদী রক্ষার। যদিও করোনার প্রভাবে মাঝে কোনও কর্মসূচি করা যায়নি। কিন্তু আজ ‘চলো কোদাল চালাই’ এই প্রতীকী নদী খনন করার মধ্য দিয়ে নদী সংস্কারের এক বার্তা দেওয়া হয়।
উদ্যোক্তাদের মতে আজ তারা চলো কোদাল চালাই প্রতীকী কর্মসূচির মাধ্যমে ইছামতি নদী সংস্কারের একটা বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবেশ বাদী সংস্থা গুলির যৌথ প্ল্যাটফর্ম সবুজ মঞ্চ নদী বাঁচাও কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক তুহিন শুভ্র মন্ডল। তিনি বলেন ‘এই অভিনব ভাবনা ও উদ্যোগে প্রথম থেকেই যুক্ত আছি। ইছামতি নদী বাঁচাতেই হবে। এর অতীত গৌরবকে আমরা ফিরিয়ে আনবো এই মর্মেই অঙ্গীকার বদ্ধ হলো সবাই।’